ক্রাইমবার্তা রিপোট : যশোরের অভয়নগরে বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি কর্মিসভায় পুলিশ লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি বর্ষন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি নেতাদের দাবি, বিএনপি নেতা প্রকৌশলী টি এস আয়ুবের পক্ষে বিকেলে অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল হক মোল্যা বাঘার হাসপাতাল রোডের বাড়িতে একটি কর্মিসভা হচ্ছিল। ওই সভায় বিএনপি ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া ওই সভার আগেই বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অনুমতি নেন। তারপরও মাগরিবের পরে অভয়নগর থানার ওসি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই সভায় হামলা চালিয়ে প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এসময় বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পুলিশ উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মীকে আটকের চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। একই সাথে তিনি পুলিশকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন।
পাশাপাশি তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন।
এ বিষয়ে নুরুল হক মোল্যা বাঘা বলেন, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসারের মৌখিক অনুমতি নিয়ে তাদের প্রার্থী টিএস আইয়ুবের পক্ষে ওই সভা করছিলেন। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওসির নেতৃত্বে পুলিশ হামলা চালিয়ে ৪/৫ জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে। এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ আমাকেসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটকের চেষ্টা করে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভয়নগর থানার ওসি আলমগীর হোসেন ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রায় এক হাজার লোক নিয়ে বাঘা মোল্যা তার বাড়িতে নির্বাচন উপলক্ষ্যে কর্মিসভা করছিল। যা নির্বাচন আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে নেতাকর্মীরা ভয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশের কোন লাঠিচার্জের প্রয়োজন হয়নি। ফাঁকা গুলি বর্ষণের কোন ঘটনা সেখানে পুলিশ ঘটায়নি। যদি গুলির কোন ঘটনা ঘটে তা বিএনপির কর্মীরাই করেছে বলে ওসি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুজ্জামান বলেন, আমার কাছ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ৪/৫ জন লোক নিয়ে তার বাড়িতে একটি সভা করার জন্য মৌখিক অনুমতি নেন। কিন্তু পরে সেখানে ৪/৫শ’ লোক জড়ো হলে ওসিকে পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে পাঠানো হয়। তবে পুলিশ সেখানে কোন লাঠিচার্জ বা গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটায়নি। এক পর্যায়ে আমি সেখানে গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সতর্ক করি এবং পুলিশকে থানায় ফিরে যেতে নির্দেশ দিই।