ক্রাইমবার্তা রিপোট : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল গণফোরামে যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
তিনি গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করে তার দলে যোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক।
রফিকুল ইসলাম পথিকের ভাষ্য-আবু সাইয়িদ ইতিমধ্যে গণফোরামে যোগ দিয়েছেন।
পথিক বলেন, আবু সাইয়িদ আজ সোমবার দুপুরে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঙ্গে দেখা করে গণফোরামের সদস্য ফরম সংগ্রহ করেছেন। সেই ফরম পূরণ করে জমাও দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে আবু সাইয়িদ গণফোরাম পরিবারের সদস্য হয়ে গেলেন বলে দাবি পথিকের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে-একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের টিকিট নিয়ে নির্বাচন করতে চান আবু সাইয়িদ।
পাবনায় নিজ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে অধ্যাপক আবু সাইয়িদের কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
এসব বিষয়ে নিয়ে গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জগলুল আফ্রিদ গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেছেন। খুব শিগগির তিনি গণফোরামে যোগ দেবেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া গণফোরামে যোগ দেন। তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে হবিগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচন করতে চান।
গত সোমবার গণফোরামে যোগ দিয়েছেন সেনা ও বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ১০ কর্মকর্তা।
তারা হলেন-সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার ফরিদুল আকবর, শেখ আকরাম আলী, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, এএফএম নুরুদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মাসুদুল হাসান, মো. এমরান, মো. বদরুল আলম সিদ্দিকী।
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার ফোরকান আলম খান, মো. হাবিব উল্লাহ ও মো. মাহমুদ।
শনিবার দুপুরে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে এসে দলটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আ ম সা আমিন।
আ ম সা আমিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ২০০১ সালে কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গণফোরামে যোগ দেন একুশে টিভির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম।
গণফোরামে যোগ দিতে যাওয়া আবু সাইয়িদ ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
আবু সাইয়িদ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন। ১/১১-এর পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েন আওয়ামী লীগের সাবেক এ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। তাকে সংস্কারপন্থীর তকমা দেয়া হয়।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ওই নির্বাচনে শামসুল হক টুকুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি।
আবু সাইয়িদ ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য ছিলেন। ১৯৭২ সালে গঠিত ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।
২০১৩ সালে আবু সাইয়িদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার পিএইচডি গবেষণার বিষয় ছিল- ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স অব বাংলাদেশ : এ ডিপ্লোমেটিক ওয়ার’