ক্রাইমবার্তা রিপোট ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে। এ সময় বেশকয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চালানো এই হামলায় জাপার চারজন আহত হয়েছেন। এর আগে মনোনয়নের ঘোষণা না পেয়ে ওইদিনই দিনভর মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শাকের হোসেন সিদ্দিকী এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে কোনো মামলা হয়নি।
হামলায় আহতরা হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আতাউর রহমান, তার ছেলে উপজেলা যুব সংহতির আহ্বায়ক সারোয়ার্দী সুজন এবং জাতীয় ছাত্রসমাজের ও যুবসংহতির দুই সদস্য কাকন ও দীপ্ত তালুকদার। এ সময় নেতাকর্মীদের তিনটি মোটরসাইকেল ও জাপা কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। আহতদের রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তিনটি রাবার বুলেট ও একটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে।
এ ঘটনার পর পৌর সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে ঈশ্বরগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে মনোনয়নের দাবিতে গতকাল দুপুর ১২টা থেকে মিছিল-সমাবেশ ও রাস্তায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ঈশ্বরগঞ্জের সাবেক সাংসদ আবদুস ছাত্তারের কর্মী-সমর্থকরা। বর্তমানে এখানকার সংসদ সদস্য মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির ফকরুল ইমাম।
এসব কর্মসূচিতে নেতৃত দেন আবদুস ছাত্তারের স্ত্রীর বড় ভাই সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবীব, শ্যালক জেলা যুবলীগের সদস্য মাহাবুবুর রহমান মাহবুব ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মতিউর রহমাম মতি।
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন, মনোনয়নের ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ। জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে কারা হামলা চালিয়েছে আমার জানা নেই। অনেকেই ক্ষুব্ধ আছেন। তাদের কেউ করেছেন কি না আমি জানি না।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফকরুল ইমামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন আজ সকালে টেলিফোনে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের তাড়িয়ে দেয় এবং ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে আটক করে।