ওয়াজ মাহফিলের বিষয়ে শিথিলতা ডিসিদের ‘চুপ’ থাকতে বললো ইসি

ক্রাইমবার্তা রিপোর্টঃ  সরকারের উন্নয়ন, প্রশাসনিক বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো ব্রিফিংয়ে অংশ না নিতে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। ইসির যুগ্ম-সচিব এসএম আসাদুজ্জমান আরজু মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন।

ইসি সূত্র জানায়, সম্প্রতি ইসির উপ সচিব মো. আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের চাকরি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীন। তাই নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া তারা কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। এছাড়া সরকারের উন্নয়ন, প্রশাসনিক বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো ব্রিফিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না।

এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগে ওয়াজ-মাহফিলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ থেকে সরে এসে নতুন নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং অফিসার অথবা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা রিটার্নিং অফিসারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে এসব ওয়াজ-মাহফিল করা যাবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে। তবে কোনো ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য বা কোনো প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য দেয়া যাবে না। মঙ্গলবার ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে একথা বলা হয়। গত ২০ নভেম্বর ভোটের আগে নতুন কোনো ওয়াজ-মাহফিলের অনুমতি দেয়া হবে না বলে নির্দেশ জারি করেছিল ইসি। একই কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ভোটগ্রহণের আগে ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি দেয়া যাবে না। তবে ইতোমধ্যে যেসব ওয়াজ-মাহফিলের তারিখ নির্ধারণ রয়েছে, সেগুলো করা যাবে। এছাড়া মাহফিলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের কথাও বলা হয়।

ওয়াজ-মাহফিলের অনুমতি দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো ইসির চিঠিতে বলা হয়, ধর্মীয় সভা, ওয়াজ মাহফিল বা এ ধরনের জমায়েতের বিষয়ে একটি মহল বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচারের ফলে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি, সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধর্মীয় সভা সংক্রান্ত একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে অপপ্রচার রোধে এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অপচেষ্টা নস্যাৎ করতে সংশ্লিষ্টদের ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে ধর্মীয় সভা, ওয়াজ মাহফিল বা ওই ধরনের জমায়েতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেননি। পূর্ব নির্ধারিত অথবা ইতোমধ্যে অনুমোদিত ধর্মীয় সভা, ওয়াজ মাহফিল বা উক্তরূপ জমায়েত অথবা অনুরুপ কোন অনুষ্ঠান আয়োজনে বাধা নেই। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এবং নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে পূর্ব নির্ধারিত ধর্মীয় সভা, ওয়াজ মাহফিল বা এ ধরনের জমায়েত ছাড়া নতুন কোনো ধর্মীয় সভা, ওয়াজ মাহফিল বা এ ধরনের জমায়েত ৩০ ডিসেম্বর পর আয়োজনের জন্য কমিশন অনুরোধ জানিয়েছিলেন

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।