২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০১৮ : ক্রাইমবাতা রিপোট: চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ (সংসদীয় আসন ৭৯, ৮০) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পাঁচজন সম্ভাব্য প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। এরমধ্যে চারজনকে চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মো. শরীফুজ্জামান, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মো. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস ও জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) মো. কামরুজ্জামান । চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপি’র একক প্রার্থী হিসেবে বিএনপি’র উপ-কোষাধ্যক্ষ, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদ হাসান খান বাবু মনোনীত হয়েছেন। সন্ধ্যায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্র তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে। এদিকে ২০অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদিকা জান্নাতুল বাকীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের ক্যাডার বাহিনী। এসময় বিএনপির এ সম্পাদিকাকে আহত করে হত্যার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ ওঠে এবং নির্বাচনে অংশ নিলে তাকেসহ স্বপরিবারে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় সরকার দলীয় লোকজন। এর কিছু দিন পর ৩০ অক্টোবর তার স্বামী মুহাম্মদ আমিনুল হককে নিজ কর্মস্থল (গুলশানের ইন্টেরিয়র হাব) অফিস থেকে সাদা পোশাধারী একটি বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের কথা বলে তাকে তুলে নিয়ে যায়। ৩ নভেম্বর তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় গাজীপুর চৌরাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে গাজীপুর সদর থানা পুলিশ। নানামুখী নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে উর্ধ্বতন নেতাদের সাথে আলাপ সাপেক্ষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপি নেত্রী জান্নাতুল বাকী।