যশোর-২ ধানের শীষে মনোনয়ন জমা দিলেন মুহাদ্দিস আবু সাঈদ

ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট:

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে জামায়াতে ইসলামী নেতা মুহাদ্দিস আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদৎ হুসাইন।

বুধবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মারুফুল আলম। মুহাদ্দিস আবু সাঈদ যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামী পশ্চিম শাখার নায়েবে আমির। তিনি এর আগেও এই আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

চৌগাছা উপজেলা জামায়াতের আমির ও হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন খান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নিকট থেকে ধানের শীষ প্রতিকের প্রত্যয়নপত্র আমরা হাতে পেয়েছি। বুধবার বিকালে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, জোটের শরিকদের জন্য যশোর-২ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমির আমিন উদ্দিন খান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ আলী, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা গোলাম মোর্শেদ, জামায়াত নেতা মাস্টার কামাল আহমেদ, মাষ্টার ইমদাদুল হক প্রমুখ।

উল্লেখ্য ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পদ্মবিলা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাদ্দিস আবু সাঈদ তৎকালীন চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে এক লাখ ৩৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে প্রায় ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ফের লড়েন। তবে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের নিকট। সে সময় তিনি পরাজিত হলেও এক লাখ ২২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন।

চৌগাছা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা গোলাম মোর্শেদ বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন মুহাদ্দিস আবু সাঈদ। তার সময়ে চৌগাছা-ঝিকরগাছার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা মিলিয়ে ৭২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মন্দিরের উন্নয়ন কাজ করেন। তার সময়েই চৌগাছা-ঝিকরগাছার ২২টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৮টির কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে তার বিরুদ্ধে প্রায় একডজন নাশকতার মামলা দেন। তাকে বিভিন্ন সময়ে কারাগারেও যেতে হয়।

এদিকে আওয়ামীলীগ নেতা এ বি এম আহসানুল হক আহসান (স্বতন্ত্র প্রার্থী), বাংলাদেশ জাতীয়পাটির বি এম সেলিম রেজা (কাঁঠাল প্রতিকে), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের আলা উদ্দীন (মই প্রতিক), জাকের পাটির হাজী মহিদুল ইসলাম (গোলাপ প্রতিক) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মাও.আসাদুজ্জামান (হাতপাখা প্রতিক) কে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ।

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।