ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট: নৌপরিবহন মন্ত্রী এবং সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক শাজাহান খান বলেছেন, দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত এবং যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস থেকে দেশব্যাপী ‘বিজয় মঞ্চ’ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বৃহষ্পতিবার সেগুন বাগিচাস্থ স্বাধীনতা হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
শাজাহান খান বলেন, ‘বিজয় মঞ্চে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সচেতনতার পাশাপাশি জামাত-রাজাকার-আলবদর যুদ্ধাপরাধী, পেট্রোল বোমায় মানুষ হত্যাকারী ও তাদের সমর্থকদের ভোট না দেয়ারও আহ্বান জানানো হবে।’
রাজাকারমুক্ত সংসদ প্রতিষ্ঠা এবং তরুণদের প্রথম ভোট স্বাধীনতার পক্ষের প্রার্থীদের দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রার্থীকে আপনারা ভোট দিবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের সন্তান ও প্রজন্ম সংগঠনসমূহ ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস উপলক্ষে বিকাল ৩ টায় ঢাকায় শাহবাগ চত্বরে সমাবেশ করবে। সমাবেশ শেষে মিছিল সহকারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে শপথ গ্রহণ করবে। ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৮ টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
এছাড়া ১৫ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় শাহবাগ চত্বরে সমাবেশ এবং সমাবেশ শেষে র্যালি নিয়ে ধানমন্ডিস্থ ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধা হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা এমদাদ হোসেন মতিন, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম সুলতান আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা কালী নারায়ণ লোধ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।