নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: মন্ত্রিসভা থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি এমনটাই বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ (সোমবার) আমাদের (মন্ত্রিসভা) শেষ বৈঠক। এরপর মন্ত্রিসভার আর কোনো বৈঠক হবে না। সবাই নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবেন নির্বাচনী কাজে। আর দেখা হবে না। আগামীতে জনগণ যাকে ভোট দেবে অর্থাৎ জনগণ কাকে ভোট দেবে এটা তারাই জানেন।
‘পরবর্তীতে নতুন সংসদ হবে, নতুন কেবিনেট হবে, সেখানে কারা আসবে সেটা তো এখনই বলা যায় না, সবাই ভালো থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।’
বৈঠক শেষ সেখানে অংশ নেওয়া একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে৷ বিএনপি-জামায়াত জোট নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে না হওয়ায় এই নির্বাচন বর্জন করে৷ তবে তারা নির্বাচন শুধু বর্জনই করেনি, বরং তা প্রতিহতের চেষ্টা করে এবং সে চেষ্টায় ব্যর্থও হয়৷
গত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই নির্বাচন ছিল গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার৷ আর বিএনপি সবসময় বলেছে, ওই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে৷
যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, আওয়ামী লীগ পাঁচ বছর সফলতার সাথে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পেরেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশলের কাছে ধরাশায়ী বিএনপির সংকট শুধুই ঘনীভূত হয়েছে। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের দাবীতে বিএনপি অনড় থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় সভানেত্রীকে ছাড়াই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি।
সোমবার ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ মন্ত্রীসভা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আর কোন সভা হবে না। নির্বাচনে জনগণের ভোটে যে দল বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে তারাই আগামীতে মন্ত্রীসভা গঠন করবে।
প্রশ্নতো এটাই, তাহলে আগামীতে মন্ত্রীসভা কারা গঠন করতে যাচ্ছে? এটা কি বলা যায়! প্রধানমন্ত্রীও তাই বললেন, আগামীতে জনগণ ভোট দিয়ে কাদেরকে নির্বাচিত করে তা এখনই বলা যায় না।