একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন এই কমিশনার।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমাদের দেশে নির্বাচনের কোনো ধারাবাহিকতা নেই। কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, কখনো সেনা সমর্থিত সরকারের অধীনে নির্বাচন, কখনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। আমাদের নির্বাচনের ধারাবাহিকতা গড়ে না উঠলেও এই প্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা ধারাবাহিকতার একটি ঐতিহ্য গড়ে তুলতে যাচ্ছি। এই জন্য এ নির্বাচনকে আমরা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে দিতে পারি না। আপনারা, আপনাদের দায়িত্ববোধ নির্বাচন সম্পর্কে জনগণের মধ্যে আস্থার ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে এবং নির্বাচনে অংশ নেয়া সব প্রার্থী আপনাদের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।’
মাহবুব তালুকদার জানান, পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রায় ১০-১২ লাখ কর্মকর্তা যুক্ত হবেন। নির্বাচনের আগে অনিয়ম রোধ ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচন কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের ক্ষমতা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। পুলিশ বা সামরিক কর্মকর্তাদের চেয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা কোনো অংশে কম নয়। তবে নির্বাচনের দায়িত্বে কর্মকর্তাদের শিথিলতা কমিশন বরদাস্ত করবে না। নির্ভয়ে, সাহসিকতার সাথে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘যেসব মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত হয়েছে, সেসব প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন। ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর আপিলের বিষয়ে নিষ্পত্তি করবে কমিশন।’
তিনি জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে ১৩ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবে কমিশন। মাঠ পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্দেশনা দেয়া হবে ওই বৈঠকে।’