ক্রাইমবার্তা রিপোট: পাটকেলঘাটা: জামায়াত সন্ধেহে খলিষখালির বিভিন্ন এলাকা থেকে চার শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে একজন ভ্যানচালক,একজন রাজমিত্রি,একজন দিনমজুর ও একজন দোকানি। সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। পুলিশের দাবী আটককৃতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা ছিল।
সোমবার দুপুর গনেশপুর বাজার এলাকা থেকে সাজ্জাত মোড়লকে আটক করে খলিষখালি ফাঁড়ি পুলিশ। সাজ্জাত মোড়লের বাড়ি মাগুরার বলরামপুর গ্রামে। আটককৃত সাজ্জাত মোড়লের স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান,তার স্বামী একজন ভ্যান চালক, চোখে কম দেখে,অনেকটা প্রতিবন্ধি। গত চার মাস আগে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করে। পরে পার্শ্ববর্তি ইউনিয়ন সরুলিয়ার জুসখোলা গ্রামে ঘটনা স্থাল দেখিয়ে একটি গায়েবী মামলায় তার স্বামীকে প্রধান আসামী করা হয়। দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে গত মাসে সে জামিনে বের হয়। এতে তার অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। লোকের সাহায্যের টাকায় তার স্বামী মামলার খর বহন করে। বর্তমানে তার স্বামীর কোন মামলায় ওয়ারেন্ট ছিলনা। পুলিশ হয়রানি করতেই তার স্বামীকে আটক করেছে বলে তার অভিযোগ।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে একই ইউনিয়নের টিকারামপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রি গোলাম রসুলকে আটক করে পুলিশ। সকালে গ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করার সময় পুলিশ তাকে আটক করে। তার নামেও কোন ওয়ারেন্ট ছিলনা বলে পরিবারটির এক সদস্য জানান।
খলিষখালি দক্ষিণপাড়া মাদ্রাসা মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় মঙ্গলানন্দকাটি গ্রামের আনছার দফাদারের ছেলে দিন মজুর আব্দুল কাদেরকে আটক করেছে পুলিশ। আটককরা হয়েছে একই ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের দোকানদার রহমত আলীকে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোন গ্রেফতারিপরওয়ানা ছিলনা ভুক্তভোগীরা জানান।
এবিষয়ে খলিষখালি পুলিশফাঁড়ির আইসি হাফিজুর রহমান জনান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা ছিল।
Check Also
আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …