ক্রাইমবার্তা রিপোট:
মিয়ানমার রাখাইনের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানেই ঘটেছে এ গণহত্যা। শুধু বিতাড়িত করাই উদ্দেশ্য ছিল না; রোহিঙ্গাদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতেই চালানো হয়েছে সাঁড়াশি অভিযান।
অভিযানের ক্ষেত্রে সব ধরনের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ করেছে সেনাবাহিনী। নিরাপত্তা চৌকিতে আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মির (আরসা) হামলাকে ব্যবহার করা হয়েছে অভিযানকে ন্যায়সঙ্গত করতে।
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের রিপোর্টের পর আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শক সংস্থা ‘পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যান্ড পলিসি গ্রুপে’র (পিআইএলপিজি) এক তদন্ত রিপোর্টেও একই চিত্র উঠে এসেছে। সোমবার ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠন করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী বর্বর হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও জাতিগত নিধন অভিযান চালায়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত এক রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নির্মম অভিযানকে প্রথমবারের মতো গণহত্যা বলে অভিহিত করে জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।
রিপোর্টে বলা হয়, গণহত্যার উদ্দেশ্যেই ওই অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে গণহত্যার জন্য সেনাপ্রধান মিং অং হ্লাইংসহ মিয়ানমার সেনাবাহিনী শীর্ষ ছয় কর্মকর্তাকে দায়ী করে তাদেরকে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করতে সুপারিশ জানানো হয়।