ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্রের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে সিইসিকে তৃতীয় কোনো শক্তির ষড়যন্ত্র বলে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন।
‘হঠাৎ তার এই বক্তব্য গভীর সন্দেহজনক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, সিইসি নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চাইলে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামাতে পারতেন, কিন্তু নামাননি।
সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীকে দর্শক হিসেবে রাখারই চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও প্রশাসন ইসির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ ভোটের মাঠে এখন আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনীর রুদ্রমূর্তিতে অবতীর্ণ হয়েছে।
‘তা হলে কেন এই অকল্পনীয় সহিংসতা ও পাইকারি গ্রেফতারের দায় সিইসি নিজে না নিয়ে এখন তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন, তা রহস্যজনক দুরভিসন্ধি।’
রিজভী বলেন, মানুষকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার ব্যর্থ পরিকল্পনায় তারা বেসামাল হয়ে পড়েছে। এমন কোনো গভীর চক্রান্তে আওয়ামী সরকারই মেতে আছে, যা তারা নিজের মুখে না বলে সিইসির মুখ দিয়ে বলাচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী অবৈধ সরকারের বশংবদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ৫ জানুয়ারির চেতনাকে ধারণ করেই আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নোংরা নীলনকশা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
রিজভী বলেন, গণমানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার একটি ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনেরই আয়োজন করছেন সিইসি। এ জন্য হঠাৎ করে তিনি তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন।
তিনি বলেন, তার এই বক্তব্য অশুভ ইঙ্গিতবাহী। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে জনদৃষ্টিকে সরানোর জন্যই তার এই বক্তব্যটি রহস্যঘেরা কুটিল চক্রান্তের আভাস মাত্র।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে সিইসি কেএম নুরুল হুদা আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় কোনো শক্তির ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দেন।