ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার সময় হামলার শিকার হওয়ার সময় পুলিশের কোনো সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আজ শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ড. কামাল বলেন, আজকের হামলার সময় পুলিশ কোনো ধরণের সহযোগিতা করেনি। বরং আমাদের ছেলেদের গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনার মাধ্যমে পুলিশ সংবিধান অমান্য করেছে। এরা বঙ্গবন্ধুর কথা অমান্য করেছে।
পুলিশের আইজির উদ্দেশ্যে ড. কামাল বলেন, এই হামলার বিষয়ে আপনাকে লিখিত অভিযোগ দেবো। এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করেন। আপনার পুলিশ অফিসারের ভেতর যাকে পছন্দ হয় তাকে দায়িত্ব দেন।
সেই তদন্তে আমরা সব ধরণের সহযোগিতা করবো।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা আরো বলেন, আজ ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এদিন আমরা আমাদের অনেক বন্ধুকে হারিয়েছি। আজ তাদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে আমাদের উপর হামলা হয়েছে। এটা শহীদদের প্রতি অবমাননা। এটা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। যারা হামলা করেছে তারা ভাড়াটিয়া। এই ছোকড়াদেরকে দুই পয়সায় পাওয়া যায়। আমি বলছি তোমাদের চার পয়সা দেবো। তোমরা এগুলো কোরো না। তোমরা কতো পয়সা পাও? কতো পয়সা দিয়েছে তোমাদের?
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্ববায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ভয় দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরানো যাবে না। মরবো কিন্তু সরে যাবো না। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চাই। তিনি বলেন, আমাদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালোর পর পুলিশ চলে যায়। এর পরই হামলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পতাকা ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। ড. কামাল হোসেনও পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ দিতে হবে।