তোরা খারাপ লোক,নৌকা লাগিয়ে ধানের শীষের ভোট দিবি,তাই কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবিনা সাতক্ষীরায় পুলিশ
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: সাতক্ষীরা সদর-২ আসনে ২০ দলীয় জোট মনোনিত জামায়াতের প্রার্থী মুহাদ্দীস আব্দুল খালেকের স্ত্রী সাজেদা বেগম অভিযোগ করেছেন, আচারণ বিধি লঙ্গন ও তার স্বামীর উপর হয়রানি মূলক মামলা দেয়ার প্রতিবাদে শুকুবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রেস ব্রিফিং করার পর রাতে তাদের বাসায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে।
তার অভিযোগ সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ ও স্থানীয় আ’লীগের সহয়তায় শুক্রুবার রাতে তাদের বাড়িতে পুলিশ প্রবেশের চেষ্টা করে। কেউ কেউ প্রধান ফটোক টপকিয়ে বাড়ির ভেতর প্রবেশে করে। বাড়িতে কাউকে না পেয়ে তারা প্রধান ফটক ভাংচুর করার চেষ্টা করে। তার অভিযোগ স্থানীয় আ’লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, তার ছেলে ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি তোতা, স্থানীয় আ’লীগ নেতা আজমল,নজরুলসহ আ’লীগের ১৫-২০ জন ও পুলিশের এসআই এনামুল ও নুরে আলমের নের্তৃত্বে ২০ জন পুলিশ তাদের একালায় যেয়ে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। দুরব্যবহার করে। বলেন, তোরা খুব খারাপ। তোরা বুকে নৌকা লাগিয়ে ধানের শীষের ভাট দিব। পুলিশের ঐ সদস্য আরো বলেন, তোরা ভোট কেন্দ্রে যাবি না। গেলে খবর আছে। এসময় পুলিশ কয়েক জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
তবে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান,এসব অভিযোগ মিথ্যা। তারা কাউকে হুমকী-ধামকি দেয়নি। তারা কোন নিরিহ মানুষকে হয়রানিও করেনি।
স্থানীয় আ’লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি জানান,তিনি পুলিশের সাথে কোথাও যায়নি। এসব তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।
এদিকে জেলা ব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৭৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পযন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, আটক কৃতদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৯ জন, কলারোয়া থানা থেকে ২৪ জন, তালা থানা থেকে ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৭ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৬ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানায় ৩ জন ।
আটক করা হয়েছে সদরের ছনকা এলাকার জামায়াত কর্মী মাও. আব্দুল ওয়াদুকে। এসময় তার ব্যবহৃত মোটার সাইকেলটি নিয়ে যায় পুলিশ। আটক করা হয়েছে সড়রের আখড়াখোলা এলাকার জামায়াত কর্মী মাও:রফিকুল ইসলাম, মাস্টার আব্দুস সামাদ, হরিশপুর দাঃ মাদ্রাসার সুপার মাও. কওছার আলীকে।
এদিকে সাতক্ষীরা শ্যামনগর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি আহাদ আলী, শহিদুল ইসলাম, তহুর মোল্লা।
আশাশুনি এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে যুবদল কর্মী হাফিজুল ইসলামকে।
কলারোয়া থেকে আটক করা হয়েছে কেরালকাতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ লতিফ, মকর আলী, গোলাম রব্বানী, আঃ সাত্তার, আক্তারুল ইসলাম, আবুল হোসেন, জাহঙ্গীর হোসেন।
আটক কৃতদের বেশির ভাগ নামে কোন গ্রেফতারি পরওয়ানা ছিলন বলে পরিবারের দাবী।
Check Also
বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন
দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …