এক দশকের দু:শাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত যশোর-২ এর জনগণ বাধা মাড়িয়ে প্রচার চালাচ্ছেন আবু সাঈদ

যশোর ব্যুরো: দীর্ঘ এক দশকের আওয়ামী দুঃশাসন, হত্যা, গুম, হামলা, মামলা নির্যাতন নিপীড়নে জর্জরিত মানুষ পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী মাঠ সরব হয়ে উঠেছে।

শত বাধা মাড়িয়ে যশোর-২ চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ আবু সাঈদ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অঞ্চলের মানুষ ধানের শীষের পক্ষে একাট্টা হয়েছেন। তাদের স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহনে সততা যোগ্যতায় বার বার পরীক্ষিত যশোর-২ আসনের প্রার্থী সাবেক এমপি জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মুহাদ্দিস আবু সাঈদের পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে। তারা সরকারের জুলুম নির্যাতনের সমুচিত জবাব দিতে চায় ব্যালটের মাধ্যমে।

ঝিকরগাছা-চৌগাছা উপজেলা নিয়ে যশোর-২ নির্বাচনী এলাকা। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৩৩ জন। এ মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ এক হাজার ৯৩৮ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছে ২ লাখ তিন হাজার ৭৯৫ জন। এখানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দাখিল করলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই হচ্ছে প্রধান দুই জোটের প্রার্থীর মধ্যে। তারা হলেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আবু সাঈদ ও আওয়ামী জোটে নৌকার প্রার্থী নতুন মুখ মেজর জেনারের (অবঃ) ডা মোঃ নাছির উদ্দিন।
এছাড়াও এখানে জাতীয় পাটি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাসদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ও গণফোরামের প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী জোটের প্রার্থী একবারে নতুন। বিগত দুই মেয়াদে এ আসনের এমপির ছিলেন আওয়ামী লীগের আরো দুই নেতা। ২০০১ এমপি ছিলেন বর্তমান ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আবু সাঈদ।
উপজেলায় সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে দেখো গেছে, নৌকার বেহাল দশা। আর ধানের শীষ মার্কার গণজোয়ার। ভোটারদের দৃষ্টিতে এর প্রধান কারণ, আওয়ামী সরকারের হত্যা, গুম, জুলুম, নির্যাতন ও হামলা মামলা। তাদের বাহিরে বা ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী একটি পরিবার খুজে পাওয়া যাবে না। যারা পুলিশের মিথ্যা ও সাজানো মামলার আসামী হয়নি। স্ত্রী, পরিবার পরিজন ফেলে বছরের পর বছর পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পরও দুই উপজেলার জামায়াতের সেক্রেটারিসহ অনেকেই আটক হয়েছেন। প্রচার কাজে দেওয়া হচ্ছে বাধা। ভেঙ্গে তছনছ করা হয়েছে বিএনপির ঝিকরগাছা অফিস। গায়েব করা হয়েছে চৌগাছায় ধানের শীষের পোস্টার। জুলুম নির্যাতনের মোকাবেলায় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন জামায়াত নেতা আবু সাঈদ। যিনি নীতি আদর্শ, সততা দক্ষতা ও যোগ্যতা বিবেচনায় বাব বার পরীক্ষিত। আবু সাঈদ এ আসনের এমপি হওয়ার আগে বাকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ক্ষমতা পেলেও তিনি কখনও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েননি। যা দুই উপজেলার প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে আজো উচ্চারিত হয়। তিনি একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসাবে দুই যুগ কর্মরত। সেখানেও তিনি যোগ্যতা দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে আসছেন। এসব দিক মাথায় রেখে ঝিকরগাছা-চৌগাছার মানুষ আবু সাইদের ধানের শীষের পক্ষে একাট্টা হয়েছেন।

অপর দিকে নৌকার প্রতীতের প্রার্থী ডা. মোঃ নাছির উদ্দিন রাজনীতিতে নতুন। তিনিও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। প্রতিদিন চষে বেড়াচ্ছেন তার নির্বাচনী এলাকা। সেনাবাহিনীতে চাকরি করার কারণে তিনি এলাকায় ছিলেন না। সুখে দুখে জনগণের পাশে থেকে এলাকায় কাজ করার সময় পাননি। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও নতুন প্রার্থী হওয়ার কারণে ভোটাররা ধানের শীষের দিকে ঝুকছে। এ বারের নির্বাচনে তারা সরকারের জুলুম নির্যাতনের সমুচিত জবাব দিতে চায় ব্যালটের মাধ্যমে। #

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।