ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ঢাকা নোয়াখালী: বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে নির্বাচনী জনসভা থেকে ফেরার পথে ওসির গুলিতে তিনি আহত হন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টার দিকে সোনাইমুড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় তার সঙ্গে থাকা বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে বিএনপি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, আজ নির্বাচনী জনসভা থেকে ফেরার পথে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাহবুব উদ্দিন খোকনের ছেলে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব জানান, তার শরীরে পাঁচটি বুলেট বিদ্ধ হয়েছে। পেছনে চারটি ও সামনে একটি বুলেট বিদ্ধ হয়। সাকিব মাহবুব বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এক পর্যায়ে পুলিশ এ্যাকশনে যায়।
ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন ছাড়াও এসময় তার সঙ্গে থাকা বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন । সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ওসি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বাধ্য হয়ে আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে গুলি করেন সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুল মজিদ। বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ওসি এ ঘটনা ঘটনা বলে দাবি করেছেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী) আসনের বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের সমর্থকরা হামলা করে। আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কর্মীদের বিএনপির কর্মীরা ধাওয়া করলে ওসি আবদুল মজিদ নিজেই আমার মুখের নিচে (থুতনিতে), পিঠে ৫টি, হাতে ২টি, থুতনিতে ১টি গুলি, পিএস ইকবাল হোসেন রুবেলের পায়ে গুলিসহ ২০ জন নেতাকর্মীকে গুলি করছে।
তিনি বলেন, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সোনাইমুড়ী বাজারে প্রধান সড়কের পাশে আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ করছি। এ সময় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কর্মীরা গণসংযোগে বাধা দিয়ে ১০-১২ জন কর্মীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে বিএনপির সমর্থিত ৩০-৪০টি দোকান ভাঙচুর করে।
ব্যবসায়ীরা জানান, নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী) আসনের বিএনপির এমপি প্রার্থী, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সোনাইমুড়ী বাজারে প্রধান সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করছেন। আগে থেকে ওত পেতে থেকে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের অস্ত্রধারী কর্মীরা বিএনপির এমপি প্রার্থীর গণসংযোগে বাধা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ১০-১২ জনকে আহত করে।
ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, বিএনপির সমর্থিত ধান সিঁড়ি হোটেল, নুরু মিয়ার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, ডাক্তার গাজির ফার্মেসি, জয়নালের ফার্মেসি, টুটুলের মুদি দোকান, হলি স্কয়ার হাসপাতালসহ ৩০-৪০টি দোকান ভাঙচুর করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কর্মীদের ধাওয়া করলে ওসি দৌড়ে নিজেই গুলি করেন।পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুল মজিদ ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে যুগান্তরকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তার পিএসসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।
তিনি বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে