ক্রাইমর্বাতা রিপোট ঢাকা: নির্বাচনে কারচুপির চক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, তেজগাঁওয়ে বিজি প্রেসে ডাবল ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে। প্রেসের ভাইদের বলবো, আপনারা এই অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকেন। এজন্য আপনাদের চাকরি চলে গেলে ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে চাকরি ফিরিয়ে দেবো।
বিরোধীকর্মীদের ওপর ‘হামলা-মামলা’ বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, জনগণ যদি রুখে দাঁড়ায়, তাহলে পালানোর পথ পাবেন না।
আসন্ন নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন সরকারের সমর্থনে শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। টঙ্গীতে সালাহ উদ্দিন সরকারের বাড়ির প্রাঙ্গণে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে আ স ম রব বলেন, শেখ হাসিনা ভয় পেয়েছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে। নির্বাচন থেকে কিভাবে পালিয়ে যাওয়া যায় সেই পথ খুঁজছেন! আপনি যদি চলে যেতে চান, তাও দেবো, আমরা বিজয়ী হলে কাউকে কোনো নির্যাতন করবো না।
ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে জোটের এ নেতা বলেন, যদি হামলা ও মামলা বন্ধ না করেন, জনগণ যদি রুখে দাঁড়ায়, তাহলে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। সেই অবস্থা সৃষ্টির সব দায়-দায়িত্ব শেখ হাসিনাকে নিতে হবে।
তিনি ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক সম্পর্কে বলেন, ধানের শীষ শুধু বিএনপির প্রতীক নয়, এটা দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রতীক।
আ স ম রব বলেন, বঙ্গবন্ধু কবরের মধ্যে চিৎকার করছেন এই বলে যে- যারা আমাকে পাকিস্তানে কারাগারে নিয়ে গেছে, তাদের হাতে নৌকা তুলে দিয়েছো, মাগো তুমি এ কী করেছো! যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর উল্লাস করেছে, শেখ হাসিনা তাদের হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন।
ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা বলেন, তারা বলে আমরা নাকি ঋণখেলাপীদের মনোনয়ন দিয়েছি। আমি বলি, তারাতো ব্যাংক ডাকাতদের মনোনয়ন দিয়েছে, শেয়ারবাজার লুটপাটকারীদের মনোনয়ন দিয়েছে।
শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ করেননি উল্লেখ করে আ স ম রব বলেন, আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই না। আমরা কয়েকবার মরে গিয়েছি। আর শেখ হাসিনা, আপনি মুক্তিযুদ্ধ করেননি।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে জনসভায় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
দুপুরে ঢাকার উত্তরা থেকে ময়মনসিংহ অভিমুখে যাত্রা করেছে ঐক্যফ্রন্ট। এই যাত্রাপথে সাতটি স্থানে জনসভা করবেন ফ্রন্টের নেতারা। এরই অংশ হিসেবে টঙ্গীতে জনসভাটির আয়োজন করা হলো।