ক্রাইমর্বাতা রিপোট:সাতক্ষীরা সংবাদদাতা সাতক্ষীরা-২ আসনে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা জাতীয় পার্টি। শনিবার বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সকাল ৮টা থেকেই মাইকিং করা হচ্ছে, বের করা হচ্ছে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। এ সময় সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সাতক্ষীরার মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না। রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সাতক্ষীরা থেকে মাদক নির্মূল করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন বলেন, সাতক্ষীরার চারটি আসনের মধ্যে সাতক্ষীরা-১, সাতক্ষীরা-২ ও সাতক্ষীরা-৪ আসনে জাতীয় পার্টি দলীয় প্রার্থী দিয়েছে।
এসব আসনে মহাজোটের কোন একক প্রাথী নেই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাতক্ষীরা-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখতের প্রচার মাইক গত শুক্রবার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা-৪ আসনেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাত্তার মোড়লের প্রচার মাইক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সাতক্ষীরাবাসী ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনী পরিস্থিতি আর দেখতে চায়না। এই পরিস্থিতি তৈরি হলে সাতক্ষীরার গায়ে আবার কালিমা লাগবে। এ সময় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ঈসরাইল গাজী, জেলা জাপা সাধারণ সম্পাদক শেখ আশরাফুজ্জামান আশু, সদর উপজেলা জাপা সভাপতি সরদার আব্দুল মুজিদ, সম্পাদক শেখ আশরাফুল ইসলাম বিপুল, জাপা নেতা, এড. মিজানুর রহমান, শেখ আব্দুস সাদেকসহ জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টি, জেলা যুবসংহতি, ছাত্রসমাজের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরার কোন প্রার্থী এখনো পর্যন্ত আমার কাছে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ করেনি। প্রার্থী লিখিত ভাবে অভিযোগ জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সাতক্ষীরায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে কলারোয়া, তালা, আশাশুনিসহ সব এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। সুনিদিষ্ট লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সুবিধা হবে।
এদিকে ২০ দলীয় জোট প্রার্থী সাতক্ষীরা সদর দুই আসনের প্রাথী মুহাদ্দীস আব্দুল খালেকের স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান, আচারণ বিধি লঙ্গনের প্রতিকার চেয়ে তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি।