শুক্রবার বিরোধী দলীয় একজন বর্ষীয়ান নেতার ওপর হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। বিরোধীরা এ অভিযোগ করে বলছে, ওই হামলায় তাদের প্রায় ১২ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র দু’সপ্তাহের সামান্য সময় বাকি থাকতে এ ঘটনা উত্তেজনাকে আরো উত্তপ্ত করে তুলছে।
অক্সফোর্ডে শিক্ষিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বর্ষীয়ান আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বর্তমানে বিরোধী দলীয় একটি জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার গাড়িবহরে লাঠিসোটা ও ইটপাথর দিয়ে আঘাত করলেও তিনি আহত হন নি। বিরোধী দলীয় মুখপাত্র বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে ফেরার পথে তার গাড়িবহরে ওই হামলা হয়।
রয়টার্সকে বিরোধী দলীয় মুখপাত্র লতিফুল বারি হামিম বলেছেন, ওই হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে সিনিয়র নেতাদের বেশ কয়েকটি গাড়ি।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা মাহবুব আলম হানিফ তার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। পুলিশ বলেছে, তারা এ ঘটনা খতিয়ে দেখছে। তাতে কোন অবাঞ্ছিত কিছু পাওয়া যায় নি। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা হলে তারা তদন্ত করে দেখবে।
বাংলাদেশের নির্বাচনগুলো মাঝে মাঝেই সহিংস হয়ে ওঠে। ব্যালটবাক্স ছিনতাই ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে নির্বাচন বিঘিœত হয়। অনেক বছর ধরে এখানে রাজনীতি সংজ্ঞায়িত করা হয় প্রচন্ড প্রতিদ্বন্দ্বী দুই নারী- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মধ্যে। খালেদা জিয়া প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতৃত্বে রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করার পর তিনি টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন।
খালেদা জিয়াকে ফেব্র“য়ারিতে জেল দেয়ার পর দু’মাস আগেও বিএনপি ছিল বিশৃংখল। খালেদার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সে সম্পর্কে তিনি বলেন- এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে অক্টোবরে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি নতুন জোট গড়ে উঠেছে ছোট ছোট দলগুলোকে নিয়ে। তাতে যোগ দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্য দিয়ে তারা অধিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলেছে নির্বাচনকে।
এ রিপোর্ট করার সময় ড. কামাল হোসেনের মন্তব্য পাওয়া যায় নি