যশোর সংবাদদাতা : নির্বাচনের দুসপ্তাহ আগে যশোরের সর্বত্র ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। একদিকে চলছে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর হামলা, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, পোস্টারে অগ্নি সংযোগ ও হুমকি ধামকি। অন্যদিকে চলছে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও পুলিশের এমন কর্মকাণ্ড নির্বাচনের সুুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের পরিবর্তে মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবার পর থেকে প্রতিদিনই যশোরের ছয়টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। যশোর-৩ (সদর) আসনের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের ওপর কয়েকদফা হামলা হয়েছে। নির্বাচনী অফিস, প্রচার মাইক ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সাংবাদিকসহ আহত হয়েছে ৩০ জন। একই ঘটনা ঘটেছে যশোর-২ (ঝিকরগাছা, চৌগাছা) নির্বাচনী এলাকায়। সেখানে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আবু সাঈদের কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে, মাইক ভাঙচুর করা হচ্ছে, প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে, পোস্টার ছিড়ে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে, বাড়ি বাড়ি যেয়ে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। এসব ঘটনার স্থান সময় ও সন্ত্রাসীদের নাম ঠিকানা উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। উপরন্তু সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ধানের শীষের কর্মীদের মাঠছাড়া করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের আটক অভিযান কয়েকগুন বেড়ে গেছে। কোথাও মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হচ্ছে। কোথাও পুলিশের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় জামিনে থাকা আসামীদের আটক করে কারাবন্দী করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জামায়াতের মনিরামপুর ও বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলা শাখার সেক্রেটারি ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। কেউ বাড়িতে থাকতে ও কর্মস্থলে যেতে পারছেনা। সবকটি আসনেই ছড়িয়ে পড়েছে পুলিশি আতংক ও ভীতিকর পরিবেশ। একপক্ষ নির্বিঘ্নে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আরেক পক্ষ হামলা মামলা গ্রেফতার হয়রানি ও ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ভয়ে মাঠে নামতে পারছে না।
Check Also
গাড়িচাপায় বুয়েট শিক্ষার্থী মাসুদের মৃত্যু ‘হত্যাকাণ্ড’
প্রাইভেটকার চাপায় বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বর্ণনা করে দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৬ দফা …