ক্রাইমবার্তা রিপোট ঢাকা-৯ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের গণসংযোগে আবারো হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দক্ষিণ গোড়ানের বাগানবাড়ি রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একপর্যায়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগে নামেন আফরোজা আব্বাস। বেলা সোয়া ১১টার দিকে খিলগাঁও রেলগেট অতিক্রম করে আফরোজা আব্বাস তিলপাপাড়ায় গণসংযোগ করেন। এ সময় এলাকার প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন যুবক সেখানে গিয়ে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করেন। আফরোজা আব্বাস বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় পৌঁছালে সেখানে তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আফরোজার গণসংযোগে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর পেছন থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের দুজন নেতা ও বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির নেতারা এই ঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন।
এর আগে গত ১২ই ডিসেম্বর প্রচারণায় নামলে আফরোজা আব্বাসের উপর হামলা হয়। এদিনও বেশ কয়জন নেতাকর্মী আহত
জুরাইনে ধানের শীষের প্রার্থী সালাহউদ্দিনের প্রচারে হামলা
ঢাকা-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ সালাহউদ্দিন আহমেদের গণসংযোগে হামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর জুরাইনের নতুন রাস্তা এলাকার ঘুণ্ডিঘর নামের স্থানে এ হামলা হয়।
এতে সালাহউদ্দিন আহমেদের কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রার্থী নিজে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় হঠাৎ করেই লুঙ্গি পরা কিছু যুবক অতর্কিতভাবে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ সময় সালাহউদ্দিন আহমেদের বহরের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ ও ৫১নং ওয়ার্ড কমিশনার কাজী হাবিবুর রহমান হাবুর লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। এতে বিএনপির অন্তত ১০ কর্মী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন মো. সাগর দেওয়ান ফারহান, হাজী আনোয়ার সরদার, মিজান ভাণ্ডারি, মামুন, বিল্লাল হোসেন, মো. রিপন মিয়া, মুন্না, মো. কামরুল হাসান, মো. রাসেল।
এর আগে দয়াগঞ্জ এলাকা থেকে দিনের প্রচার শুরু করেন আলহাজ সালাহউদ্দিন আহমেদ। এর পর ধোলাইপাড়, নতুন সড়ক পালপাড়, কাজিপাড়া, মীর হাজারীবাগ মাদ্রাসা রোড এলাকায় গণসংযোগ শেষে ঘুণ্ডিঘর এলাকায় যান তিনি। এ সময় তার ওপর হামলার ঘটনা