ক্রাইমবার্তা অনলাইন ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশে তাদের প্ল্যাটফর্মে ৬টি একাউন্ট এবং ৯টি পেজ বন্ধ করে দিয়েছে।
ফেসবুক বলছে, এগুলোতে বাংলাদেশের সরকারের সমর্থনে বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করা হচ্ছিল, এবং এর সাথে সরকার-সংশ্লিষ্ট কিছু লোকের সম্পর্ক আছে।
ফেসবুক নিউজরুমের এক রিপোর্টে বলা হয়, এক তদন্তের পর ‘সমন্বিতভাবে ভুয়া কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার’ দায়ে এই ১৫টি পেজ ও একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিবিসি বাংলার মতো করে বানানো ভুয়া খবরের পোস্ট।ছবি- ফে.বুক নিউজ রুম
এছাড়া বিডিনিউজটুয়েন্টিফোর ডট কম-এর মত করে আরেকটি ভুয়া একাউন্ট তৈরি করা হয়, যার নাম বিডিএসনিউজটুয়েন্টিফোর ডট কম – যা দেখলে অনেকের কাছে বিডিনিউজটুয়েন্টিফোর ডট কম বলে ভুল হতে পারে।
ন্যাথানিয়েল গ্লাইশারের এক রিপোর্টে বলা হয়, অনলাইন গোয়েন্দা কোম্পানি গ্রাফিকার কাছ থেকে খবর পাবার পর এর তদন্ত করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
তদন্তে দেখা যায় যে বন্ধ করে দেয়া ওই পেজগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে – যেন তা কিছু স্বাধীন সংবাদ প্রতিষ্ঠানের মতোই দেখায়।
রিপোর্টটি বলছে, “এ ছাড়া এই পেজগুলোতে সরকারে সমর্থনে এবং বিরোধীদলের বিপক্ষে নানা ‘কনটেন্ট’ পোস্ট করছিল।”
নিউজদিনরাত নামে আরেকটি সাইটও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যেটিও ভুয়া খবর পরিবেশনের সাথে জড়িত ছিল।
“আমাদের তদন্তে আভাস পাওয়া যায় যে এই কার্যক্রমের সাথে বাংলাদেশের সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু লোকের সম্পর্ক আছে” – বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।
এতে আরো বলা হয়, “ফেসবুকের ‘মিসরিপ্রেজেন্টেশন পলিসি’ অনুযায়ী এ ধরণের আচরণ অনুমোদিত নয় ।
“কারণ আমরা চাই না যে কোন ব্যক্তি বা সংস্থা এমন সব একাউন্ট তৈরি করে যা তাদের পরিচয় বা কার্যক্রম সম্পর্কে লোকের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করে।”
কীভাবে চেনা যাবে ‘ফেক-নিউজ’, ঠেকানোর উপায় কী
বিডিএসনিউজটুয়েন্টিফোর ডট কম নামে বন্ধ করে দেয়া আরেকটি একাউন্টের পোস্ট
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ রিপোর্টটিতে আরো বলেছে যে তারা এ ধরণের অপব্যবহার উদঘাটন করতে সব সময়ই কাজ করে চলেছে।
তদন্তে যা পাওয়া গেছে তাতে আরো দেখা যায়, এই ফেসবুকে পেজগুলোর অন্তত একটি ফলো করতেন ১১ হাজার ৯০০ লোক।
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ করা হয়েছে প্রায় ৮০০ মার্কিন ডলার। প্রথম বিজ্ঞাপনটি প্রচার করা হয় ২০১৭ সালের জুলাই মাসে,আর শেষটি গেছে ২০১৮-র নভেম্বরে।-বিবিসি বাংলা