ক্রাইমবার্তা ঢাকা: সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম আতাউর রহমান। শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ যদি সত্যিকার অর্থে ভোট দিতে পারে, সঠিকভাবে ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশিত হয়, তাহলে গণতন্ত্র যে পেছনের দিকে যাচ্ছিল, সেটা রোধ করা যাবে। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে বাংলাদেশ আরেকটি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকে যেতে পারে।
আতাউর রহমান বলেন, এটাকে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মনে হচ্ছে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে যেসব শঙ্কা থাকে, সেগুলোর কিছু বহিঃপ্রকাশও হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ- সবাই এখন নির্বাচনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে গেছে। সুতরাং বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি নতুন ধরনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে বলে আমি মনে করি।
নির্বাচন কেমন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফাইনালি নির্বাচনটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না।
নির্বাচনে জনগণ এখনো সম্পৃক্ত হয়নি। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সম্পৃক্ত হয়েছে। সুতরাং একেবারে শেষ পর্যায়ে কি হবে সেটা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনো আসেনি। তবে সকল রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর জন্য ন্যূনতম যে পরিবেশ এবং স্বাধীনতা সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমি মনে করি, সেটার সময় এখনো আছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সেটা বোঝা যাবে।
নির্বাচনে হার-জিত থাকবেই উল্লেখ করে সিজিএস-এর চেয়ারম্যান বলেন, যদি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়, সংসদে সবারই যদি প্রতিনিধিত্ব থাকে, তাহলে এই নির্বাচন বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আনবে এবং আমরা যে টেকসই উন্নয়নের স্বপ্ন দেখি সেটা আরো নিশ্চিত হবে। আর কোনো কারণে যদি তা না হয়, কোন একটি পক্ষ এককভাবে সবকিছু পেয়ে যায় এবং অন্য আরেকপক্ষ বঞ্চিত হয় ও সত্যিকার অর্থে তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকে তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতির স্থিতিশীলতা অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও সুষ্ঠু হবে কি না এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু হবে কি না এখনো বলা যাচ্ছে না। নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা সবার সমান প্রচারণার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে জয়-পরাজয় যাই হোক নির্বাচন একটি দিকে যাবে। প্রার্থীরা যদি মনে করে আমার যতটুকু করা দরকার, করেছি। এখন জনগণ ঠিক করবে আমাকে ভোট দিবে, কি দিবে না। তাহলে ভালো নির্বাচন আশা করা যায়।