ক্রাইমবার্তা ঢাকা: কারাগারে থেকে নির্বাচন করছেন ধানের শীষের ১৫ প্রার্থী। প্রতীক বরাদ্দের পর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়
বিএনপির দফতর সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে থাকা ধানের শীষের ১৫ প্রার্থীরা হলেন-গাজীপুর-৫ আসনের প্রার্থী ফজলুল হক মিলন, টাঙ্গাইল-২ আসনে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কুমিল্লা-১০ আসনে মনিরুল হক চৌধুরী, মাগুরা-১ আসনে মনোয়ার হোসেন খান, নরসিংদী-১ আসনে খায়রুল কবির খোকন, রাজশাহী-৬ আসনে আবু সাঈদ চাঁদ, চট্টগ্রাম-৯ আসনে ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আ ন ম শামসুল ইসলাম, খুলনা-৬ আসনে আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা-৪ আসনে গাজী নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া-১ আসনে রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এসএম জিলানী, কক্সবাজার-২ আসনে এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, সাতক্ষীরা-২ আসনে মুহাদ্দিস আবদুল খালেক ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মাওলানা আবদুল হাকিম।
এদের মধ্যে বুধবার বাচ্চু মোল্লা, ১৬ ডিসেম্বর গাজী নজরুল ইসলাম এবং ১৩ ডিসেম্বর ফজলুল হক মিলন গ্রেফতার হন।
সূত্রটি জানায়, এসব আসামিকে একটি মামলায় প্রথমে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে, সেখানে বিফল হলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এবং সেখানেও না মিললে জামিনের আবেদন করতে হবে হাইকোর্টে।
এ প্রক্রিয়া শেষ করে আপিল বিভাগের মুখোমুখি হওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন প্রার্থী জামিন পাওয়ার পর অন্য মামলায় নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ কারণে ৩০ ডিসেম্বরের আগে কারামুক্ত হয়ে তাদের নির্বাচন করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংলাপে সবার সামনে কথা দিয়েছিলেন তফসিল ঘোষণার পর আর গ্রেফতার হবে না। একটা কথাও সরকার রাখেনি। গণগ্রেফতার চলছে। প্রতিদিন বিএনপির ২০০-৩০০ নেতাকর্মী গ্রেফতার হচ্ছে।
জামিন নিয়ে বের হলেও হাইকোর্টের গেটে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার নতুন মামলা দিয়ে জেলে ঢোকাচ্ছে। অত্যাচার-নির্যাতনের শেষ নেই। এখন নতুন করে শুরু হয়েছে আমাদের প্রার্থিতা বাতিল। সেটি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না।