ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার সকাল পযর্ন্ত সাতক্ষীরা জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান,সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৪ জন,কলারোয়া থানা থেকে ১৮ জন,তালা থানা থেকে ৭ জন,কালিগঞ্জ থানা থেকে ১৩ জন,শ্যামনগর থানা থেকে ৮ জন,আশাশুনি থানা থেকে ১০ জন,দেবহাটা থানা থেকে ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান,গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
## এদিকে জামায়াত দাবী করেছে ধানের শীষের পোষ্টার মারার অপরাধে সদরের কাথন্ডা গ্রামের নবাব আলীর ছেলে জামায়াত কর্মী হাফিজুর রহমান কে বাড়ী হতে গতরাতে আটক করেছে পুলিশ। হাফিজুরের পিতার বক্তব্য তার বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকলেও আওয়ামীলীগের তালিকা অনুযায়ী যারা ধানের শীষের পোষ্টার সেটেছে তাদেরকে ধরতে তৎপর পুলিশ। একই অভিযোগে গদাঘাটা গ্রামের আঃ মাজেদের ছেলে জামায়াত সমর্থক মাও. তরিকুল ইসলাম কে বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রায়পুর গ্রামের আঃ হাকিম গাজীর ছেলে জামায়াত কর্মী মফিজুল ইসলাম, কুশুডাঙ্গা গ্রামের আবুল বিশ্বাসের ছেলে জামায়াত সমর্থক বনী আমিন। বল্লী ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী আঃ রহিমের ছেলে রফিকুল ইসলাম কে বাজার থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। আখড়াখোলা বাজার হতে বাড়ী ফেরার সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তিনি পানিতে পড়ে যান সেখান হতে ভিজে কাপড়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া সদরের ভোমরা ইউনিয়নের আঃ গফুর বিশ্বাসের ছেলে চৌবাড়ীয়া জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি শহিদুজ্জামান, ভাড়–খালী গ্রামের সিরাজুল কবিরাজের ছেলে জামায়াত কর্মী আবুল কালাম (৪১), আলিপুর ইউনিয়নের চাপারডাঙ্গা গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে জামায়াত সমর্থক শওকত আলী, চাপারডাঙ্গা জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি কবির হোসেন, লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের হাজী কিরামত আলীর ছেলে মফিজুল ইসলাম।
কালিগঞ্জের তেতুলিয়া বাজার হতে গ্রেফতার হয়েছে ছাত্র শিবিরের এক সাথী। সে তেতুলিয়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে হাসানুজ্জামান। কলেজ পড়–য়া হাসানুজ্জামান গতকাল দুপুরে তেতুলিয়া বাজারে গেলে সেখান হতে তাকে আটক করা হয়। কালিগঞ্জের বি এন পি-জামায়াতের বিভিন্ন নেতা-কর্মীর বাড়ীতে পুলিশ এবং আওয়ামীলীগ যেয়ে তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে না ওয়ার জন্য হুমকী দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্ত ভোগীরা।
গতকাল গভীর রাতে আশাশুনিতে বর্ডার গাড (বিজিবি) কতৃক আটক করা হয়েছে জামায়াতের এক কর্মী কে। আশাশুনি সদর উপজেলার মৃত আব্দুর রউফ সরদারের ছেলে জামায়াত কর্মী রুহুল আমীন (৫০)। সাতক্ষীরাতে এই প্রথম বিজিবি কতৃক কোন জামায়াত কর্মীকে আটক করা হল।
কলারোয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের ১০ জন গ্রেফতার# উপজেলা সেক্রেটারীর বাড়ীতে ব্যাপক তল্লাসী—–
গতরাতে কলারোয়া জামায়াতের উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারীর বাড়ীতে ব্যাপক তল্লাসী চালিয়েছে পুলিশ। বাড়ীর আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন সেক্রেটারী নুরুজ্জামান। এছাড়া ১২ নং যুগীখালী ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতি কামরুজ্জামন, কামারালী গ্রামের আবদুল্লাহ, ওফাপুর গ্রামের শফিকুল ও কবিরুলের বাড়ি ঘর ও আসবাব পত্র ভাঙচুর করে।
কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে জামায়াতের ১২ নেত-কমীকে। আটককৃতরা হলেন ঝিকরা গ্রামের রুকন মোঃ ইউনুছ আলী, জামায়াত সমর্থক ছোট রাজনগর গ্রামের রুপচান আলীর ছেল আঃ রউফ (৫২), ধানঘোরা গ্রামের মৃত জোহর আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৬), একই গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে মিন্টু (২৮) এবং তার ভাই মেছের আলী (৩৮), মৃত নওশের মুন্সির ছেলে শামসুর রহমান (৬০), মানিক নগর গ্রামের মৃত হাবিল মোড়লের ছেলে মফ্ফার (৫০), গাজনা গ্রামের মৃত আঃ জব্বারের ছেলে আঃ মাজেদ (৫৫), ছলিমপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩০), বসন্তপুর গ্রামের মৃত আতের আলীর ছেলে মোঃ নুর আলী (৫৫), দাড়কী গ্রামের জামায়াত কর্মী রিজাউল ইসলাম (৪৫)।