ক্রাইমর্বাতা রিপোট: শ্যামনগর: গত ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ধাণের শীষ প্রতীকের প্রার্থীসহ ষাট জনেরও বেশী নেতাকর্মী ও সমর্থক আটক হয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। বিএনপির দাবি নির্বাচনের মাঠে এক পক্ষকে সুবিধা দিতে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রতিদিন সংসদীয় এলাকার কোন না কোন অংশ হতে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। যদিও পুলিশের দাবি আটককৃতরা সবাই একাধিক মামলায় চার্জশীটভুক্ত আসামী। মামলা ছাড়া কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
এদিকে ২৪ ডিসেম্বর সোমবার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ আংশিক নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন সাতক্ষীরা-০৪ থেকে ন্যুনতম চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের দাবি করেছে বিএনপি। তাদের দাবি সোমবার সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে বিষ্ণপুর ইউনিয়নের বন্দরকাটি গ্রামের মৃত শমসের গাজীর ছেলে ই¯্রাফিল হোসেন, মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবুল কাশেম, নৌবাজপুর গ্রামের হাবিবুল্লাহর ছেলে আবুল বাসারকে আটক করা হয়। এর আগে সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের সামনে থেকে গাবুরা এলাকার রহমত উল্লাহ গাজীর ছেলে আব্দুস সোবহানকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া দুপুরের দিকে হাসান মিয়া নামের বিকল্পধারার এক নেতাকে আটক করা হলেও সাদা পোশাকের ঐ ব্যক্তিরা পরক্ষনে তাকে ছেড়ে দেয়।
বিএনপির দাবি গত ১৬ ডিসেম্বর ধাণের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গাজী নজরুলসহ জামায়াত দলীয় দুই নেতা মাওলা আঃ বারী ও শেখ আব্দুল বারিকে আটক করে পুলিশ।
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলা যুবদল নেতা রুস্তম আলী, কৈখালী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাহাজান আলী, রমজাননগরের ডাঃ আবু কওছারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া ধুমঘাট গ্রামের যুবদল কর্মী আব্দুর রহমান, কৈখালীর ডাঃ আহসান উল্লাহসহ ষাট জনেরও বেশী নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতারের অভিযোগ জানিয়েছে বিএনপি।
এবিষয়ে উপজেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন সরকারী দলের প্রার্থীকে সুবিধা দিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনের মাঠ বিরোধী দলের নেতকার্মী শুন্য করতে চাইছে। তিনি আরও বলেন গ্রেফতার আতংকে সংসদীয় আসন সাদতক্ষীরা-৪ এর বিরোধী পক্ষের কোন নেতাকর্মী নির্বাচনের ৫/৬ দিন বাকি থাকা সত্ত্বেও বাড়ি ঘরে ফিরতে পারছে না। সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের হওয়া ‘গায়েবী’ মামলায় আটক হওয়ার ভয়ে সবাই এলাকার বাইরে অবস্থান করছে জানিয়ে তিনি ইসি ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনে ধাণের শীষ প্রতীকের সমন্বয়ক আঃ জলিল বলেছেন নির্বাচনের ৫ দিন বাকি থাকলেও এখ নপর্যন্ত তারা কোথাও মিটিং মিছিল করতে পারছে না। সোমবার বিষ্ণুপুর এলাকায়ও তাদের প্রচার কাজে বাঁধা দিয়ে রেকর্ডিং মেমোরী খূলে নেয় স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু পাল।
পুলিশ সুত্র জানিয়েছে নিয়মিত মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রচারনায় কোথাও কোন বাঁধা দেয়ার অভিযোগ অদ্যাবধি পুলিশের কাছে কেউ করেনি। #
Check Also
বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন
দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …