সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াত মনোনিত ধানের শীষ প্রার্থীর স্ত্রী মেয়ে, ছেলে ও মেয়ের শিশুসন্তানকে জেলগেট থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা ৪ শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ আংশিক আসনে ধানের শীর্ষের জামায়াত মনোনিত প্রার্থী কারবন্ধি মুক্তি যোদ্ধা গাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রী,কন্যা,বড় ছেলের শিশু পুত্র ও কন্যার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা কারা ফটকের সামনে থেকে তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে।
ধানের শীষের প্রার্থী গাজী নজরুল ইসলামের বড় ছেলে গাজী মঞ্জুরুল ইসলাম মুঠো ফোনে জানান, তার আম্মা মাকসুদা ইসলাম,তার শিশু পুত্র গাজী শামসুল আরেফিন,তার এক মাত্র বোন স্কুল শিক্ষিকা শারমিন ফেরদাউস ও বোনের স্কুল পড়–য়া মেয়ে নাইমা সুলতানা দোলাকে সাতক্ষীরা কারাফটকের সামনে থেকে ডিবিপুলিশ একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। কারাগারে থাকা তার পিতার সাথে সাক্ষাৎ শেষে ফিওে আসার সময় দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। তার দাবী তুলে নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তার মায়ের মোবাইল থেকে জানানো হয় তারা সাতক্সীরা ডিবিতে আসে। পরিবারের কোন সদস্য পেলে ডিবি পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেবে। পরে বিকেলে তাদের পরিবারের এক সদস্য ডিবিতে গেলে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয় না। বিষয়টি তারা জেলা রিটর্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাষক এসএম মোস্তফা কামালকে জানায়। তিনি জানান,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে গাজী নজরুল ইসলামকে তার শ্যামনগর সদরের বাসা থেকে আটক করে শ্যামনগর থানা পুলিশ।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আলি আহমেদ হাসেমী। এর আগে গাজী নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছিল। তিনি কারাগারে রয়েছেন।

২০০১ সালে আসনটিতে বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন গাজী নজরুল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির গোলাম রেজার কাছে হেরে যান তিনি।

Check Also

আশাশুনি উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সভাপতি-অধ্যাপক শাহজাহান,সেক্রেটারী বোরহান উদ্দীন মনোনীত এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি প্রতিনিধি।।বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আশাশুনি উপজেলার দ্বি-বার্ষিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।