ক্রাইমর্বাতা রিপোট: সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ সাতক্ষীরা সদর ২ আসনে ধানের শীর্ষের জোয়ার ঠেকাতে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজন এলাকাতে হামলা,মামলা,গ্রেফতার,ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ এলাতে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে শুরু করেছে ছাত্রলীগ,যুবলীগসহ আ’লীগের পেটুয়া বাহিনী বলে অভিযোগ। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নানা ভয় ভীতি প্রদশ করা হচ্ছে। ধানের শীষে ভোট দিলে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে। নৌকা বিজয়ী না হলে বিএনপি জামায়াতের কোন নেতাকর্মী এলাকাতে থাকতে পারবে না বলে প্রকাশ্যে হুমকী দেয়া হচ্ছে।
সদরের ইন্দিড়া গ্রামের শেখ আব্দুল কাদের জানান, তার স্ত্রীকে আ’লীগের লোকজন মারপিট করেছে। কারণ তার স্ত্রী ধানের শীর্ষের একজন সমর্থক। এই অপরাধে মঙ্গলবার সকালে সদরের ইন্দিড়া গ্রামের কালাচাদের ছেলে হাবিবুর রহমান হবি ও তার বাহিনী তার স্ত্রী রোকেয়া খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে, কান ধোরে উঠবস করায় এবং জন সম্মুখে লাঞ্চিত করায় সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে গ্রাম্য ডাক্তার ডেকে চিকিৎসা করার পর তার স্ত্রীর জ্ঞান ফেরে।
সাতক্ষীরা জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবী করা হয়েছে-
গতরাতে আ’লীগ সভাপতি হবি ও তার বাহিনী পুলিশের উপস্থিতিতে চুপড়িয়া গ্রামে শাটানো ধানের শীষের পোষ্টার নামিয়ে নেয় এবং ধনের শীষের কর্মী সলেমান গাজীর ছেলে আব্দুর রহমানের বাড়ীতে হামলা চালায়। আব্দুর রহমানকে বাড়ীতে না পেয়ে তার মেয়ে ফাহিমার হাত থেকে তার ব্যবহৃত এ্যান্ড্রইড মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। তবে হবি তার বিরুদ্ধে অআনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবী করেন।
গদরের বৈকারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ওয়াসলে কালিনির বিরুদ্ধে ধানের শীষ ভোটারদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ছয়ঘোরিয়া গ্রামের রহিম বক্সের ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে ব্যাপক মারপিটের অভিযোগ উঠে। আসাদুজ্জামান ওয়াসলে জানান,এসব তার বিরুদ্ধে মিথ্য ষড়যন্ত্র।
গদরের ঘোনা ইউনিয়নের স্থানীয় চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা ফজলুর রহমান মোশার নেতৃত্বে ১০-১৫ জন আওয়ামীগের লোকজন চাইনিজ কুড়াল, রাম দা, বাশের লাঠি, হক স্টিক নিয়ে ঘোনা গাইনপাড়া মোড়ে সাটানো ধানের শীষের পোষ্টার ছিড়ে ফেলে। আসে পাশের বাড়ীগুলোতে হুমকী প্রদান করে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য। একই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ছিটের ডাঙ্গা গ্রামে টানানো ৪টি স্থান হতে মঙ্গলবার সকালে ধানের শীষের পোষ্টার ছিড়ে ফেলে স্থানীয় আবদার ঢালীর ছেলে আলমগীর হোসেন। ফজলুর রহমান জানান, এসব অভিযোগ সত্য না। তার বিরুএদ্ধ মিথ্যাচার।
নেবাখালী গ্রাম হতে স্থানীয় শাহাদাত মেম্বরের নেতৃত্বে ধানের শীষের পোষ্টার ছিড়ে ফেলার অডভযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা ও শিমুলবাড়ীয়ায় এলাকায় সাটানো ধানের শীষের পোষ্টার ছিড়ে ফেলেছে যুবলীগের শিমুলবাড়ীয়া গ্রামের আবুল শেখের ছেলে আজাদ, রওনাকুল খোকনের ছেলে ছাত্রলীগের আল-আমিন (২০) এবং জালালের ছেলে ছাত্রলীগের জুয়েল (১৬)।
এল্লার চর বাজারে টানানো ধানের শীষের পোষ্টার মঙ্গলবার সকালে ছিড়ে ফেলেছে বালিথা গ্রামের আবু জাফরের ছেলে শহিদুল (৩০)।
এছাড়া সদরের বিভিন্ন এলাকা হতে পুলিশ ধানের শীষের ১০ নেতা কর্মীকে আটক করেছে। আটক কৃতরা হলেন, কুশখালীর মৃত খোদা বক্স ধাবকের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৪২), তালুকদার গোলাম রব্বানীর ছেলে ডাঃ শফিকুল ইসলাম, ঘোনা ইউনিয়নের ভাড়–খালী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আঃ মোমেন, একই গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে আজহারুল ইসলাম, মোনসাব সরদারের ছেলে শাহাজান, ঘোনা গ্রামের মৃত শাহাদাতের ছেলে প্রাক্তন মেম্বর মোনায়েম, আগরদাড়ী ইউনিয়নের নেবাখালী গ্রামের আমিন গাজীর ছেলে আব্দুল্লাহ (৪০), একই গ্রামের আঃ কাদেরের ছেলে আব্দুল আলিম, নুর ইসলামের ছেলে কবিরুল ইসলাম (৪০), হবিবার রহমানের ছেলে আশাদুল ইসলাম।
এদিকে জেলা ব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭৪ জনকে আটক করেছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পযন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৪ জন,কলারোয়া থানা থেকে ১২ জন,তালা থানা থেকে ৫ জন,কালিগঞ্জ থানা থেকে ১০ জন,শ্যামনগর থানা থেকে ৯ জন,আশাশুনি থানা থেকে ১১ জন,দেবহাটা থানা থেকে ৯ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৬ জন রয়েছে।
এজলা র্রিটানিং কর্মকতা এস এম মোস্তফা কামাল জানান,আচারণ বিধি লঙ্গনের লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।