ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর-২ আসনে জামায়াত মনোনিত ধানের শীর্ষের প্রাথী মুহাদ্দীস আব্দুল খালেকের ছোট মেয়ের স্বামী সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ইসলামী শিক্ষার সহকারি অধ্যাপক মিয়ারাজ হোসেনকে আটক করেছে পুলশি। গতকাল মঙ্গলবার শহরের আমতলা মোড় সংলগ্ন মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়।
অধ্যাপক মিয়ারাজ হোসেনের স্ত্রী শামীমা রেদওয়ান মুঠো ফোনে জানান, গতকাল সন্ধা থেকে তার স্বামীর মোবাইল ফোন বন্ধ দেখাচ্ছিল। রাতে সেই মোবাইল ফোন থেকে কল আসে। এবং বলা হয় তার স্বামী সাতক্ষীরা সদর থানাতে আছে। আজ সকালে মেরাজের এক আত্নীয় থানাতে আটককৃত মেরাজের জন্য সকালের নাস্তা সরবরাহ করেন। খাবারো
এদিকে সাতক্ষীরা সদর থানা দাবী করেছে ৮৪ হাজার টাকার জাল নোট সহ সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ইসলামী শিক্ষার সহকারি অধ্যাপক মিয়ারাজ হোসেনকে তারা আটক করেছে । বুধবার ভোরে শহরের পলাশপোল এলাকা থেকে পুলিশ তাকে এক হাজার টাকার জাল নোটসহ আটক করে।
আটক মিয়ারাজ হোসেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও সদরের মৃগীডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ শহরের পলাশপোল মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮৫ হাজার টাকার জাল নোটসহ মিয়ারাজ হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য মিয়ারাজ হোসেন সাতক্ষীরা সদর দুই আসনের ধানের র্শীষ প্রার্থী ও জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের জামাই।
আটক মিয়ারাজ হোসেনের স্ত্রী শামীমা রেদওয়ান আরো জানান, ২৫ ডিসেম্বর আসরের নামাজের পর তাকে কাটিয়া এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। তাকে পরিকল্পিকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তার কিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকায় জাল টাকা সরবরাহের মামলা দিয়েছ। যা অত্যান্ত ঘুণীত। তার দাবী তার স্বামী প্রতি মাসে অর্ধলক্ষাধীক টাকা বেতন পান তাহলে জাল টাকার ব্যবসা করার দরকার কি আছে। তিনি অবিলম্বে তার স্বামীর মুক্তির দাবী জানান।