ক্রাইমবার্তা রিপোট সাতক্ষীরা ১ ও ৪ আসনে নির্বাচনী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ঘটনায় তালায় ১০ জন এবং শ্যামনগরে আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া অন্তত ৬ টি গািড় ভাংচুর, একটি নির্বাচনী অফিস ও একজন চেয়ারম্যানের বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। রাত আটটায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাতক্ষীরা ১ আসনের জাতীয় পাটির প্রার্থী কেন্দ্রিয় জাপা নেতা সৈয়দ দীদার বখত এক সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তিনি আজ কলারোয়ায় গনসংযোগ শেষ করে বিকালে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন তখর নগরঘাটা ৩০ মাইল এলাকায় তার গাড়ি বহরে হামলা করেছে নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জজামান লিপু ও তার সহযোগীরা।
তারা তার দুটি গাড়ি ভাংচুর করে। তাদের হামলায় আহত হন কাজী আসাদ, আবদুস সোবহান, উপজেলা জাপা সেক্রেটারি মো. আলাউদ্দিন , মিরাজ, শেখ জাহাঙ্গির, বিশ^নাথ, শরিফুল ও ইকবাল। তিনি অভিযোগ করে বলেন তার আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মহাজোট প্রার্থীর সমর্থকরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এর ফলে তিনি মুক্তমনে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছেন ন্ াবলে জানান।
এদিকে, সন্ধ্যায় শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালিতে বিকল্পধারা প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজার একটি পথসভায় হামলা করে মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত এসএম জগলুল হায়দারের সমর্থকরা। এ সময় তাদের তিন কর্মী বিল্লাল , আহসান ও সফিকুল নামের তিনজন আহত হন। গোলাম রেজা জানান, তারা তাকে বহনকারী একটি গাড়িসহ কমপক্ষে তিনটি গাড়ি ভাংচুর করে।
তিনি বলেন, পাতাখালি ছাড়াও তার বহরের ওপর বুড়িগোয়ালিনী ও নোয়াবেকিতে হামলা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ডে বিকল্পধারা প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে।
পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বিকল্পধারা প্রার্থী গোলাম রেজার উপস্থিতিতে তার বাড়িতে হামলা হয়েছে। তারা তার বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। এ সময় আহত হন সুজন, গফুর, কাসেম, সাজিদ ও রোকনুজ্জামানসহ পাঁচজন। ##