শেখ আহমেদ সালমান: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ। তার মধ্যে তরুণ ভোটারের সংখ্যা ২ কোটি ৫০ লাখ। এদের মধ্যে আবার ২২ লাখ ০৫ হাজার ১৩৪ জন একেবারেই নতুন। অর্থাৎ মোট ভোটারের ২০ শতাংশই হলো তরুণ।
তরুণ ভোটাররা বলছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত। তাই তারা চান তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদানে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চান তারা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ আব্দুর রহিম বলেন,” সবার আগে সমঅধিকার নিশ্চিৎ করতে হবে , বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি কিন্তু সেটা আজো অর্জিত হয় নি। পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, আইনের শাসন, জবাবদিহির কার্যকারিতা বজায় রাখতে হবে।” তিনি আরো বলেন , “আমরা চাই পরিবর্তন, বিগত ১০ বছরে মেধাবিরা বেশি হয়রানির শিকার হয়েছে বিপরীতে দলীয় শিক্ষার্থীরা বেশি সুযোগ সুবিধা পেয়েছে।”
আরেক তরুণ ভোটার পোশাক ব্যবসায়ী রাহানুর ইসলাম অয়ন বলেন, ”ভোটার হিসেবে মনে করি নির্বাচন এমন হওয়া উচিত, যাতে ভোটাররা আতঙ্কমুক্ত পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে যোগ্য, এলাকার উন্নয়নে আগ্রহী জনপ্রতিনিধিকেই অগ্রাধিকার দেবেন বলে জানান এই তরুণ ভোটার। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামিতে তরুনরা আর কোন দুর্নীতিবাজ ,ক্ষমতা পিপাসুদের সুযোগ দেবে না।”
সর্বোপরি, এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, তরুণরা কখনো বিবেচনাহীনভাবে ভোট দিবে না। একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তরুণরা নির্বাচিত করবে তাদের পছন্দের সরকারকে। এগিয়ে যাবে তারুণ্য, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।