ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা: নির্বাচনী আচারণবিধি লংঘন করে শ্যামনগরে বিকল্প ধারার প্রার্থীর পক্ষ্যে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শবিবার বেলা এগারটার দিকে গোলাম রেজার বাদঘাটা এলাকার বাড়ি থেকে মিছিলটি বের হয়ে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিন শেষে এমএম প্লাজার সামনে পথসভা করে। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ নেতা সফিউল আযম লেনিন, গোলাম মোস্তফা, গাজী আনিছুজ্জামান ও জাফরুল আলম, এসময় অন্যান্যের মধ্যে চেয়ারম্যান শোকর আলী, শাহাজান সিরাজসহ আওয়ামীলীগের বেশ কয়েক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ তারিখে রাত ১২টায় নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হলেও আচারণবিধি লংঘন করে সমাবেশ করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সমাবেশে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়া এমপি এসএম জগলুল হায়দারের পক্ষের কোন নেতাকর্মী ও সর্মথকদের দেখা যায়নি।
এদিকে শনিবার বেলা নয়টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট এলাকায় প্রভাষক সফিকুল ইসলাম এবং মুজিবল হকসহ তিনটি পরিবারের বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুবৃর্ত্ত। এসময় ঈশ^রীপুরের চেয়ারম্যান শোকর আলীর ভাতিজা জাহিদ, ধুমঘাট গ্রামের জলিল, রহিমসহ চল্লিশটিরও বেশী মটর সাইকেলে শতাধিক যুবক ঐ তান্ডব চালায় বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ মুজিবুল হকের স্ত্রী মরিয়ম।
প্রভাষক সফিকুলের স্ত্রী হাবিবা খাতুন জানায় বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে হামলাকারীরা গোটা বাড়িতে তান্ডব চালায়। এসময় হামলাকারী তার স্বামী সফিকুল ইসলাম কতৃক শিক্ষা লোন উত্তোলনের পাঁচ লাখ টাকাসহ বাড়ির গুরুত্বপুর্ন জিনিসপত্র লুট করে নেয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে মুজিবল হক জানিয়েছে জাহিদ ও জলিলের নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় মিনাল গাজীর স্ত্রী ৪৭ বছর বয়সী ঝেনি বেগমের হাত ভেঙে যাওয়ায় তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এসময় হামলাকারীদের হাতে একই গ্রামের মিজানুর ও লুৎফর নামের আরও দুই জন আহত হয় বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিকরা।
এবিষয়ে শোকর আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ বরেননি। এদিকে শুক্রবার রাত থেকে মটর সাইকেল চলাচল বন্ধে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সত্ত্বেও শনিবার সকাল থেকে স্বাভবীক ভাবে মটর সাইকেল নিয়ে মানুষজনকে যত্রতত্র চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগে সাতক্ষীরা-৪ আসনে মহাজোটের মনোনিত প্রার্থী হলেন বিকল্প ধারা’র মনোনিত, সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজা বলে প্রচার চালানো হয়। শুক্রবার বিষয়ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব হিসাবে প্রচার করলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই ঘটনাটি সত্য দেখা গেলো। গোলাম রেজার কালিগঞ্জের বাসায় একে আসতে থাকেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন, সাবেক সাধারন সম্পাদক গাজী আনিছুর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। চলতে থাকে আনন্দ উল্যাস আর মিষ্টি বিতরণের উৎসব। এ সময় মহাজোটের মনোনিত প্রার্থী এইচ এম গোলাম রেজা বলেন আমি সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সাতক্ষীরা ৪ আসনটি উপহার দিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। সকল ভেদাভেদ ভূলে আমার কুলো প্রতিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
এদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়া বর্তমান এমপি এসএম জগলুল হায়দার কুলা প্রতীককে সমার্থন দেয়ার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।