ক্রাইমর্বাতা রিপোট: সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে সিসিইউ বিভাগে ইকো-ইটিটি মেশিন থাকলেও চিকিৎসক ও দক্ষ টেকনিশিয়ানের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে মেশিনগুলি। সদর হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে প্রায় চার বছর পূর্বে প্রাক্তন সিভিল সার্জন ডা: এসজেড আতিকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাসপাতালে সিসিইউ ইউনিট চালু হয়েছিল। শুরু থেকে কার্ডিয়াক রোগীদের উন্নত সেবা পেলেও ডা: আতিকের অবসরের কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যায় করোনারি কেয়ারের ইকো-ইটিটি মেশিনের কার্যক্রম। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত লক্ষ লক্ষ টাকার মেশিনের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভূক্তভোগী জনগন। কার্ডিয়াক রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইকো-ইটিটি মেশিন। বিশেষ করে দুঃস্থ অসহায় রোগীদের বেসরকারি ভাবে ইকো-ইটিটি টেস্ট করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অপর দিকে হাসপাতালের ডিজিটাল এক্সেরে মিশিনের প্রিন্টার দির্ঘদিন নষ্ট। রিডার টি পুরাতন হওয়ায় খুড়ে খুড়ে চলেও এক্সেরে প্লেট প্রিন্ট করতে হচ্ছে সিটি স্কান মেশিনে। শুধু তাই নয়, এক্সেরে বিভাগে কোরিয়ান লিষ্টিস ৩০০ এমএ নামক মেশিন থাকলেও সেটি মেরামত না করায় নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। সরকারি ভাবে সিআর নামক প্রিন্ট মেশিন প্রদান করা হলেও সেটি এখনও পর্যন্ত সচল করা সম্ভব হয়নি। ইকো-ইটিটি মেশিন বন্ধের কারন জানতে চাইলে সদর হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা: আসাদুজ্জামান জানান তিনি কার্ডিয়াক সার্জন না হলেও প্রতিদিন শত শত মেডিসিন ও কার্ডিয়াক রোগীদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন ইকো-ইটিটি মেশিন চালানোর জন্য কার্ডিয়াক চিকিৎসকের প্রয়োজন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ইকো-ইটিটি মেশিন সচল করার জন্য কার্ডিয়াক চিকিৎসা সহ চক্ষু, ইএনটি, অর্থপেডিক সার্জন সংকটে বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন কোন চিকিৎসক পায়নি। তবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। সদর হাসপাতালে ইকো-ইটিটি মেশিন সহ যাবতীয় মেশিন দ্রুত সচল করার জন্য জোর দাবি করেছেন ভূক্তভোগী মহল।
Check Also
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
মুহাম্মদ হাফিজ , সাতক্ষীরা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার ২০২৫-২০২৬ সেশনের পূর্ণাঙ্গ …