ক্রাইমর্বাতা রিপোটা: একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে প্রতিটি কেন্দ্রে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ সিল মারার নির্দেশ থাকলেও ৮০ শতাংশ সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে রাখার দাবি করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক মোস্তফা মোহসীন মন্টু।
আজ শনিবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে গণফোরামের বর্ধিত সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
তিনি বলেন, প্রতিটা কেন্দ্রে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যালটে সিল মারার নির্দেশ থাকলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে পূর্বের রাতেই নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অকার্যকর করে ফেলেছে।
নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্টু বলেন, নির্বাচনের আগের রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মহাজোটের কর্মীবাহিনী একজোট হয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রের আশেপাশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ীতে বাড়ীতে হানা দেয়। রাতভর তাদের তাড়া করে বেড়ায়। আর এ সুযোগে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা রিটার্নিং অফিসারের পূর্বনির্দেশ অনুযায়ী নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে রাখে।
তিনি বলেন, শহরের ভোট জালিয়াতির কৌশল কিছুটা ভিন্ন ছিল কোনো কোনো কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। কোনো কোনো কেন্দ্রে এজেন্টদের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে স্বাক্ষর রেখে সকাল ৮টায় কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। সকাল ১১টার পর ঢাকা মহানগরের কোনো কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট থাকতে দেয়া হয়নি। বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের চোখে ধুলো দেয়ার জন্য শহরাঞ্চলে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের কৃত্রিম লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে ভেতরে সিল মারার কাজ অব্যাহত থাকে।
তিনি বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অচিরেই বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন কার্যকর গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত হবে।।