ক্রাইমর্বাতা রিপোট: সদ্য বিদায়ী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, নিজে থেকে বিদায় বা অবসর নেয়া একদিক দিয়ে ভালো। ঝেঁটিয়ে বিদায় হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছি। আর মন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ মনে হচ্ছে। সোমবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজের শেষ কর্মদিবসে বিদায়ী অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুহিত।
শেখ হাসিনার সরকারে দুই মেয়াদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর অবসর চাইছিলেন তিনি। এজন্য এবার নির্বাচনও তিনি করেননি।
অবশ্য একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পরদিন মুহিত বলেছিলেন, শেখ হাসিনা চাইলে আরও কিছু দিন কাজ চালিয়ে যেতে তার আপত্তি নেই। কিন্তু টানা তৃতীয় মেয়াদে যে সরকার শেখ হাসিনা গড়েছেন সোমবার, তাতে প্রবীণ সব নেতাকে তিনি বাদ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, এটি আমার খুব আনন্দের বিষয়, আমাকে বিদায়-টিদায় করতে হয়নি, আমি নিজে নিজেই বিদায়টা নিয়ে নিয়েছি।
সেজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, এ বয়সে আল্লাহ আমাকে এমন রেখেছেন যে আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি জটিল মন্ত্রণালয়ে একটি জটিল দেশে পরিচালনা করেছি। এখন তো আমার অবসর নেয়ার দরকারই।
গত ১০ বছরে বাংলাদেশকে ‘ভিক্ষুকের দেশ’ থেকে উত্তরণ ঘটানোর কৃতিত্ব দাবি করে তিনি বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ এখন বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশ বলতে সাহস পায় না। দেশকে এ অবস্থায় উত্তরণে আমার অংশগ্রহণ থাকায় নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমরা আগামী ৫ বছর ধারাবহিকভাবে তৃতীয়বার ক্ষমতায় থাকছি। আগামী ৫ বছরে দেশে এমন একটি জায়গায় যাবে, যা রোধ করা সম্ভব হবে না।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা তার সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে আনেন মুহিতকে, যিনি এইচ এম এরশাদের সরকারেও দুটি বাজেট দিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।