দক্ষিণখানে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১২

ক্রাইমবার্তা ডেক্সরিপোর্টঃ    রাজধানীর দক্ষিণখানে ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনকারী পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে নিপা গার্মেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকালে পোশাক শ্রমিকরা নিপা গার্মেন্টের সামনে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ছুড়ে।

দক্ষিণখান থানার এসআই সুজন যুগান্তরকে জানান, শ্রমিকদের হামলায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

এদিকে রাজধানীর উত্তরায় তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আজমপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন পোশাক শ্রমিকরা।

এ সময় পুলিশ তাদের টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে শ্রমিকরা রেললাইনের ওপর অবস্থান নেন। পোশাক শ্রমিকরা ওই এলাকায় দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

ঘটনাস্থল থেকে আমাদের উত্তরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আজমপুরে শাহজালাল অ্যাভিনিউয়ে পুলিশ ও পোশাক শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছেন।

পুলিশও দফায় দফায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে। এ সময় ওই এলাকায় প্রাণ গ্রুপের একটি গাড়ি ও একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।

অন্যদিকে মিরপুরের কালশীর ২২তলা গার্মেন্ট এলাকায় অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে ওই এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

সকাল ৮টার পর থেকে পোশাক শ্রমিকরা কালশী সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানীর উত্তরার বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন পোশাককর্মীরা।

গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভে বাসে আগুন ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আর বাস শ্রমিকদের হামলায় এক পোশাক শ্রমিক আহত হন।

এদিন বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শ্রমিক-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর আগে রোববার উত্তরা ও আবদুল্লাহপুরের বিভিন্ন গার্মেন্ট শ্রমিকরা একই দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষোভ চলাকালে উত্তরখান এলাকায় শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনার একপর্যায়ে কে বা কারা গাড়িতে আগুন দেয়।

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।