ক্রাইমবার্তা রিপোট: সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি, বাস্তবায়নের দাবি ও সাভারে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ চতুর্থদিনের মতো আন্দোলনে তারা। রাজধানী ও এর পাশ^বর্তী বিভিন্ন কমপক্ষে ১০টি কারখানায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। উপায় না পেয়ে ইতিমধ্যে শতাধিক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে শ্রমিকদের আন্দোলনে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে বিভিন্ন স্থানে অন্তত: ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মিরপুরের কালশীর ২২ তলা ভবনের সামনে ও সাড়ে ৯টা থেকে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এতে করে ওই এলাকার সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এসব এলাকায় পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত: ১০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে গাজীপুরের কাশিমপুর বোর্ড বাজারসহ আশপাশের এলাকার শ্রমিকরা সকাল থেকেই আন্দোলনের নামে। মহাসড়কে বিক্ষোভ করে। ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক কিছুক্ষণ সময়ের জন্য অবরোধ করে রাখে। এ সময় ইটপাটকেল ছোড়ে বিভিন্ন কারখানায় ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশকিছু যানবাহন। ঘটনার সময় কমপক্ষে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে দিগন্ত সোয়েটার কারখানা, কস্ট কোস্ট কারখানা, বডি ফ্যাশনসহ শতাধিক কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুরা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আহত হন সময় টিভির গাজীপুর সংবাদদাতা আসাদ নুর আলম। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি চান্দনা চৌরাস্তা টঙ্গী কাশিমপুরসহ শিল্প এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশের পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক করিম জানান, মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে তারা মূল সড়কে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। গত তিনদিন ধরে একই দাবিতে বিমানবন্দর, উত্তরা, সাভার, টঙ্গী, গাজীপুরে সড়কে অবস্থান নেয় গার্মেন্টস কর্মীরা।
এর আগে গতকাল শ্রমিকদের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর জরুরী বৈঠক হয়। বৈঠকে মজুরি কাঠামোর অসঙ্গতি এক মাসের মধ্যে সমাধানের আশ^াস দিয়ে আজ থেকে শ্রমিকদেরকে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী ।