ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রির্পোটঃ বাংলাদেশে টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং টকশোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে একটি গাইডলাইন তৈরির করার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচনের আগে এবং পরে কয়েকটি টেলিভিশনের আচরণ তাদের কাছে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হয়েছে। যেখানে এমনকি অনুষ্ঠানের সঞ্চালকরাও একটি পক্ষ নিয়ে বিএনপিকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন বলে তাদের অভিযোগ। তাই টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলোতে দলের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে একটি গাইডলাইন তৈরির জন্য উদ্যোগ নিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী অনেক বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে টক-শো’র বিষয়টিও ছিল। বিভিন্ন টক-শো’তে যারা পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন বলে বলা হয়, তারা কতটা উপযুক্ত, তাদের প্রস্তুতি কেমন, কাদের সঙ্গে যাচ্ছেন, তারা তথ্য নির্ভর কথা বলছেন কিনা – সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
‘অনেকে আছে সাবেক নেতা বা বিএনপির নেতা হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু তারা আসলে হয়তো এখন আর বিএনপিকে প্রতিনিধিত্ব করেন না। কিছু টেলিভিশন আছে, যেগুলোর লক্ষ্য থাকে বিএনপিকে উদ্দেশ্যমূলক সমালোচনা করা। সেসব ক্ষেত্রে আমাদের যারা ওখানে যান, তাদের আরো সতর্ক, আরো গঠনমূলক এবং আরো তথ্য নির্ভর বক্তব্য নিয়েই সেখানে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
‘বিশেষ করে নির্বাচনের অনিয়মের নানা তথ্যগুলো সেখানে যেন যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়, সেই বিষয়ে নেতৃবৃন্দকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে, যারা এসব টকশো ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় তথ্য যোগান দেবেন। দলটির নেতারা টকশোতে যাবার আগে প্রয়োজনে এই কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে যেতে পারবেন।
এই কমিটিতে আরো রয়েছেন শামসুজ্জামান দুদু, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ এবং রুমিন ফারহানা। এই কমিটি বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং যারা টক শোতে যাবেন, প্রয়োজনে তাদের পরামর্শ দেবেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলছেন, ‘কিছু টেলিভিশন আছে যেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপিকে টার্গেট করে থাকে। এগুলো যারা ফেস করতে পারবেন না, তারা যেন সেসব টেলিভিশনে না যান। যারা পারবেন, তারাই যেন যান। তবে কাউকে কোন টেলিভিশন বা অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে বলা হয়নি।’
ওই বৈঠকে অংশ নেয়া বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বিবিসিকে বলেন, ‘যেহেতু আমাদের কথা কাজ বা প্রচারণা ঠিকভাবে নিউজে আনা যাচ্ছে না, তাই টক শো হচ্ছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরার প্রধান জায়গা।’
‘আমাদের প্রেস ব্রিফিংয়ের সামান্য অংশই খবরে যায়, সব পেপারও সবাই পড়েন না। ফলে টক শো লাইভ অনুষ্ঠান বলে সেখানে বিশ্লেষণ করে আমরা তুলে ধরতে পারি।’
তিনি বলছেন, ‘কিন্তু কিছু চ্যানেল আছে যাদের অতিথি বাছাই হয় একদিকে একপক্ষের কয়েকজন, অন্যদিকে আমাদের পক্ষ থেকে একজন অথবা দুর্বল একজন।’
‘সেই সাথে অনেক সঞ্চালকও ঠিক সঞ্চালক সুলভ আচরণ করেন না, একটা দলের পক্ষ হয়ে যান। সেজন্য এটা কিভাবে ট্যাকল করা যায়, সবাই যাওয়ার আগে যাতে বিষয়বস্তু জেনে-পড়াশোনা করে যান, দুর্বলতা থাকলে যেন এড়িয়ে যান, নিজের চেহারা দেখাতে গিয়ে যেন দলের ক্ষতি না করেন – এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি জানান, যেসব বিষয়ে সাধারণত বিএনপিকে অভিযুক্ত করা হয়, সেসব বিষয়ে সবসময়েই দলের পক্ষ থেকে তথ্যপ্রমাণ প্রস্তুত রাখা হবে, যাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দলের নেতাদের বক্তব্য অভিন্ন হয়।
বৈঠকে অংশ নেয়া দলটির নেতারা জানাচ্ছেন, দল থেকে যারা টক-শো’তে যাবেন, কারা প্রতিনিধিত্ব করবেন, তাদের একটি তালিকা করা হবে। বিএনপির প্রেস কনফারেন্স, বক্তব্য তাদের ইমেইলে নিয়মিত জানিয়ে দেয়া হবে।
আর যারা দলের পদে নেই, তাদের দলীয় পরিচয়ে টক-শো’তে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে।
এসব নীতিমালা দলটির নেতাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তবে দলটির পদে নেই, এমন ব্যক্তিরাও চাইলে এই কমিটির সাহায্য নিতে পারবেন।
টেলিভিশনের বিভিন্ন টক-শো’তে আরো অনেকের মতো বিএনপিকে উপস্থাপন করে থাকেন ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ।
তিনি বিবিসিকে বলছেন, ‘গতকাল দল থেকে বলা হয়েছে, যেহেতু এই মুহূর্তে সংবাদ মাধ্যম যেহেতু অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত এবং আইনের জালে আমরা বন্দি, সেই বিবেচনায় আমাদের বলা হয়েছে যেন আমরা দলের পক্ষ থেকে যথাযথ সঠিক তথ্য আমরা উপস্থাপন করি।’
বাংলাদেশে টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং টকশোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে একটি গাইডলাইন তৈরির করার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচনের আগে এবং পরে কয়েকটি টেলিভিশনের আচরণ তাদের কাছে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হয়েছে। যেখানে এমনকি অনুষ্ঠানের সঞ্চালকরাও একটি পক্ষ নিয়ে বিএনপিকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন বলে তাদের অভিযোগ। তাই টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলোতে দলের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে একটি গাইডলাইন তৈরির জন্য উদ্যোগ নিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী অনেক বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে টক-শো’র বিষয়টিও ছিল। বিভিন্ন টক-শো’তে যারা পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন বলে বলা হয়, তারা কতটা উপযুক্ত, তাদের প্রস্তুতি কেমন, কাদের সঙ্গে যাচ্ছেন, তারা তথ্য নির্ভর কথা বলছেন কিনা – সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
‘অনেকে আছে সাবেক নেতা বা বিএনপির নেতা হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু তারা আসলে হয়তো এখন আর বিএনপিকে প্রতিনিধিত্ব করেন না। কিছু টেলিভিশন আছে, যেগুলোর লক্ষ্য থাকে বিএনপিকে উদ্দেশ্যমূলক সমালোচনা করা। সেসব ক্ষেত্রে আমাদের যারা ওখানে যান, তাদের আরো সতর্ক, আরো গঠনমূলক এবং আরো তথ্য নির্ভর বক্তব্য নিয়েই সেখানে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
‘বিশেষ করে নির্বাচনের অনিয়মের নানা তথ্যগুলো সেখানে যেন যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়, সেই বিষয়ে নেতৃবৃন্দকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে, যারা এসব টকশো ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় তথ্য যোগান দেবেন। দলটির নেতারা টকশোতে যাবার আগে প্রয়োজনে এই কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে যেতে পারবেন।
এই কমিটিতে আরো রয়েছেন শামসুজ্জামান দুদু, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ এবং রুমিন ফারহানা। এই কমিটি বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং যারা টক শোতে যাবেন, প্রয়োজনে তাদের পরামর্শ দেবেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলছেন, ‘কিছু টেলিভিশন আছে যেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপিকে টার্গেট করে থাকে। এগুলো যারা ফেস করতে পারবেন না, তারা যেন সেসব টেলিভিশনে না যান। যারা পারবেন, তারাই যেন যান। তবে কাউকে কোন টেলিভিশন বা অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে বলা হয়নি।’
ওই বৈঠকে অংশ নেয়া বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘যেহেতু আমাদের কথা কাজ বা প্রচারণা ঠিকভাবে নিউজে আনা যাচ্ছে না, তাই টক শো হচ্ছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরার প্রধান জায়গা।’
‘আমাদের প্রেস ব্রিফিংয়ের সামান্য অংশই খবরে যায়, সব পেপারও সবাই পড়েন না। ফলে টক শো লাইভ অনুষ্ঠান বলে সেখানে বিশ্লেষণ করে আমরা তুলে ধরতে পারি।’
তিনি বলছেন, ‘কিন্তু কিছু চ্যানেল আছে যাদের অতিথি বাছাই হয় একদিকে একপক্ষের কয়েকজন, অন্যদিকে আমাদের পক্ষ থেকে একজন অথবা দুর্বল একজন।’
‘সেই সাথে অনেক সঞ্চালকও ঠিক সঞ্চালক সুলভ আচরণ করেন না, একটা দলের পক্ষ হয়ে যান। সেজন্য এটা কিভাবে ট্যাকল করা যায়, সবাই যাওয়ার আগে যাতে বিষয়বস্তু জেনে-পড়াশোনা করে যান, দুর্বলতা থাকলে যেন এড়িয়ে যান, নিজের চেহারা দেখাতে গিয়ে যেন দলের ক্ষতি না করেন – এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
তিনি জানান, যেসব বিষয়ে সাধারণত বিএনপিকে অভিযুক্ত করা হয়, সেসব বিষয়ে সবসময়েই দলের পক্ষ থেকে তথ্যপ্রমাণ প্রস্তুত রাখা হবে, যাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দলের নেতাদের বক্তব্য অভিন্ন হয়।
বৈঠকে অংশ নেয়া দলটির নেতারা জানাচ্ছেন, দল থেকে যারা টক-শো’তে যাবেন, কারা প্রতিনিধিত্ব করবেন, তাদের একটি তালিকা করা হবে। বিএনপির প্রেস কনফারেন্স, বক্তব্য তাদের ইমেইলে নিয়মিত জানিয়ে দেয়া হবে।
আর যারা দলের পদে নেই, তাদের দলীয় পরিচয়ে টক-শো’তে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে।
এসব নীতিমালা দলটির নেতাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তবে দলটির পদে নেই, এমন ব্যক্তিরাও চাইলে এই কমিটির সাহায্য নিতে পারবেন।
টেলিভিশনের বিভিন্ন টক-শো’তে আরো অনেকের মতো বিএনপিকে উপস্থাপন করে থাকেন ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ।
তিনি বিবিসিকে বলছেন, ‘গতকাল দল থেকে বলা হয়েছে, যেহেতু এই মুহূর্তে সংবাদ মাধ্যম যেহেতু অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত এবং আইনের জালে আমরা বন্দি, সেই বিবেচনায় আমাদের বলা হয়েছে যেন আমরা দলের পক্ষ থেকে যথাযথ সঠিক তথ্য আমরা উপস্থাপন করি।’
‘যারা দলের হয়ে বা দলের পক্ষ থেকে টক-শো’তে যান, তারা সবাই যেন লেখাপড়া করে জেনে সঠিক তথ্য উপাত্ত নিয়ে যান এবং ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারেন।’
যারা দলের হয়ে বা দলের পক্ষ থেকে টক-শো’তে যান, তারা সবাই যেন লেখাপড়া করে জেনে সঠিক তথ্য উপাত্ত নিয়ে যান এবং ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারেন।”