ক্রাইমর্বাতা রিপোট: মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পড়ানোর আহ্বান-হেফাজত আমীরের ব্যক্তিগত অভিমত। এই বক্তব্য রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর চশমাহিলের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী এই প্রতিক্রিয়া জানান।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার ১১৮ তম বার্ষিক মাহফিলে মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর দেওয়া একটি বক্তব্য ও ভিডিও সর্বপ্রথম দৈনিক মানবজমিনের অনলাইনে প্রকাশ হয়। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় ওই বক্তব্য ও ভিডিও।
সেখানে বলা হয়, মেয়েদেরকে স্কুল-কলেজে না পড়াতে। পড়ালেও সর্বোচ্চ ক্লাস ফোর বা ফাইভ পর্যন্ত পড়ানোর জন্য মাহফিলে উপস্থিত সকল মুসলমানদের ওয়াদা করান আহমদ শফী। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনা শুরু হয়।
হেফাজতে আমীরের এই বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এই মন্তব্য, একান্তই তার ব্যক্তিগত অভিমত। বাংলাদেশের শিক্ষানীতি প্রণয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বা পরিচালনা অথবা শিক্ষা খাতে কোনো নির্বাহী দায়িত্বে তিনি নেই। যেহেতু তিনি কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অবস্থানে নেই, তিনি অভিমত দিলেই সেটা রাষ্ট্রীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্ত বা প্রতিফলিত হবে, এমন চিন্তা করার কোনো অবকাশ নেই। সমাজে এরকম অনেকেই অনেক ধরনের অভিমত দেন।
নওফেল বলেন, দেশের যে কোনো নাগরিকেরই বাকস্বাধীনতা আছে।
তার মনের ভাবনা প্রকাশ করার অধিকার আছে। তবে আমি সম্মানের সঙ্গে বলব, আমরা সকলেই যারা বাকস্বাধীনতার চর্চা করছি, আমরা যেন এই বিষয়টা মাথায় রাখি যে, সংবিধান অনুসারে আমাদের সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা যেন বৈষম্যমূলক মন্তব্য না করি।
মতবিনিময় সভায় নওফেলের সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ স¤পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমউদ্দিন শ্যামল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন এবং শিক্ষা ও মানবস¤পদ বিষয়ক স¤পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, স্বাচিপ নেতা ডা. শেখ শফিউল আজমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।