ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে পুনরায় নির্বাচনের দাবি মোটেও সাংবিধানিক নয় এবং এটি অযৌক্তিক। জনগণ ভোট দিয়েছে তাই জনগণকে এভাবে অসম্মান করার কোনো অধিকার ঐক্যফ্রন্টের নেই।
মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার সাবেক পরিচালক জাফরোল হাসানের অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
নারী শিক্ষা নিয়ে আল্লামা শফীর দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, গতবছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমানের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এটি ছিল অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। শফী সাহেব একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। তাকে শ্রদ্ধাভরে বলতে চাই, তার এসব উক্তি দেশে যে ইতিবাচক উন্নয়ন হচ্ছে তার বিপরীতে যাবে। তাই এ ধরনের বক্তব্য পরিহার করলে ভালো হবে।
তিনি বলেন, আল্লামা শফী যা বলেছেন সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। ব্যক্তিগত অভিমত যার যার থাকতেই পারে। কিন্তু তার এসব বক্তব্য বর্তমান সরকারের দেশ পরিচালনায় বা নীতির কোনো পরিবর্তন আনবে না। শেখ হাসিনার সরকার নারী অধিকারের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেটা আরও দৃঢ় হবে এবং আরও এগিয়ে যাবে। এটাই এই সরকারের নীতি ও বিশ্বাস।
আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে আইনি সেবা পৌঁছে দিতে না পারলে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কোনো মূল্য থাকবে না। তাই আইনি সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য সংস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই সংস্থার অধীন লিগ্যাল এইড অফিসারের সব শূন্যপদ পূরণ করা হবে। জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রচার কার্যক্রম জোরদার করা হবে। এক্ষেত্রে টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচারকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এ সময় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনেই সাক্ষ্য আইন এবং বৈষম্য বিরোধ আইন উত্থাপনের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বিকাশ কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, যুগ্ম সচিব গোলাম সারওয়ার, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।