ক্রাইমবার্তা রিপোর্টঃ আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ঐক্যফ্রন্টের জাতীয় সংলাপ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘যাদেরকে জনগণ ভোট দেয় নাই তারা কার সঙ্গে সংলাপ করবে?’
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা জনগণকে মানুষ বলে মনে করে না, যারা সোফায় বসে যা খুশি তাই করবে আর জনগণ মেনে নেবে তা হবে না। তাদেরকে আর সেই সুযোগ জনগণ দেবে না।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকা আখাউড়া আওয়ামী লীগ শুক্রবার বিকালে উপজেলা মাঠে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
ড.কামাল হোসেনের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি প্রেসক্লাবে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। আর খবরের কাগজের শিরোনাম হন। অথচ জনগণের কাছে আসেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেন। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই সাংবাদিক ভাইদের বললেন খামোশ। পুলিশকে গালি দিলেন। কাকে কী বলবেন বুঝে উঠতে পারেননি। জনগণ যখন তাদেরকে ভোটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করলেন তখন তিনি বললেন জামায়াতকে নিয়ে নির্বাচন করা আমার ভুল হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, তাদের কর্মকাণ্ড এখনও বোঝা যায় না যে তারা রাজনীতিবিদ। সেই তারা মানুষ হত্যা করেছে। বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। ওই চক্রান্তকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা চালায়। রাখে আল্লাহ মারে কে! হত্যা করতে পারেনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।
বিএনপির সমালোচনা করে আনিসুল হক বলেন, তাদের নেত্রী এতিমের টাকা চুরি করেছে। আদালতের রায়ে এখন জেল খাটছে। এ কথা কিন্তু আমি বলি নাই। আদালত স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওনার ছেলে তারেক, যাকে রাজপুত্র নামে ডাকে। সে হচ্ছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত আসামি। তারেককে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে এ রায় কার্যকর করা হবে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম ভূঁইয়া, সেলিম ভূঁইয়া, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা, পৌর যুবলীগ সভাপতি মনির খান, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দীন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।