ক্রাইমবার্তা রিপোর্টঃ খূলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ট্রাক টার্মিনালের অদূরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে দুইজনকে হত্যার পর একজনকে ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে এবং অপর একজনকে ঘরের মধ্যে খাটের ওপর ফেলে যায় দুস্কৃতকারীরা।
নিহতরা হলেন সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকার লেদ মেশিনের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন (৫৫) ও শিক্ষনবীশ কর্মচারী মেহেদী (১৮)। জোড়া খুনের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এম এম শাকিলুজ্জামান জানান, সোনাডঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকার লেদ মেশিন ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলীর বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। শুক্রবার রাতের যে কোনো সময়ে দুস্কৃতকারীরা ওই বাসায় গিয়ে লেদ মেশিন ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন ও মেহেদীকে হত্যা করে। পরে তারা আক্তার হোসেনের লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে দেয়। এ ছাড়া মেহেদীর লাশ ঘরের মধ্যে খাটের ওপর ফেলে রাখে।
দুইজনকেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে কি কারণে কে বা কারা আক্তার হোসেন ও মেহেদীকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মেহেদী ইউসেপ স্কুলের কারিগরী বিভাগের ছাত্র হিসেবে ওইখানে লেদ মেশিনের কাজ শিখতো। আক্তার হোসেন চলতি ৭ জানুয়ারি বাসা ভাড়া নেন।
মেহেদীর পিতা হুমায়ুন কবীর জানান, তার ছেলে মেহেদী বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর বাসায় ফেরেনি। মেহেদী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে একটি বাসায় তারা বাবার সঙ্গে বসবাস করতো।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মো মমতাজুল হক বলেন, সুরতহাল শেষে রাত পৌনে ১১টার দিকে দুটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।
আক্তার হোসেন ও মেহেদী হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান জোরদার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।