ক্রাইমর্বাতা রিপোট: আজও সড়কে ঝরলো নয়জনের প্রাণ। এদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। আজ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, নাটোরের বাগাতিপাড়ার ও রাজবাড়ী রেলস্টেশনের অদূরে ড্রাইচ এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
সোনারগাঁ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের ভৈরবেরটেক এলাকায় একটি মাইক্রোবাস খাদে পড়ে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, রিপন (৩২) আড়াইহাজার উপজেলার বড় ফাউসা এলাকার ইভু বাবুর্চির ছেলে, মোমেন (৩৭) বাঘা নগর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে, শহিদুল্লা মোক্তার (৪৫) মাউরাদি এলাকার কাদেম আলী মোক্তারের ছেলে ও রাজু (৪০) ফাউসা এলাকার জহর আলীর ছেলে।
আজ রোববার ভোরে সোনরগাঁওয়ের আড়াইহাজার সড়কের বৈরাবেরটেক তালতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, ভোরে সাদা রঙের প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো-গ ১৫৫৪৮৩) চারজন ঢাকা থেকে আড়াইহাজার যাচ্ছিল। পথে ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু।
নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। খাদে ডুবে যাওয়া প্রাইভেটকারটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
নাটোর
বিয়ের দাওয়াত খেয়ে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন একই পরিবারের ৩ জন। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নাটোরের বাগাতিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের কাছে অবদা নামক স্থানে বালুবাহী পিকআপ- মাহিন্দ্রের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই ৩ জন নিহত হন।
নিহতরা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বাজার এলাকার খায়রুল হকের ছেলে আবদুর রব খালেদ (৩৫), তার স্ত্রী ছনিয়া বেগম (২৮) ও ছেলে তাসফি হাসান (৯)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একই মোটরসাইকেলযোগে বাগাতিপাড়া উপজেলার কৈয়চারপাড়া গ্রামের ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাগ্নির বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ওই ব্যক্তিরা নিজ বাড়ি আড়ানীতে ফিরছিল।
নিহত আবদুর রব খালেদ আড়ানী পৌর বাজারের বিশিষ্ট জুতা স্যান্ডেল ব্যবসায়ী। তার স্ত্রী ছনিয়া বেগম গৃহিনী, ছেলে তাসফি হাসান আড়ানী প্যারাগণ কিন্ডার গার্টেনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঁশবাড়িয়া এলাকার স্থানীয় স্কুল শিক্ষক সেলিম রেজা। তবে এ খবর লেখা পর্যন্ত লাশ ও বালুবাহী মাহিন্দ্র ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে।
রাজবাড়ী
রাজবাড়ী রেলস্টেশনের অদূরে ড্রাইচ এলাকায় মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় রেল লাইন পার হবার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে ফিরোজ সরদার নামে এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে চলতি মাসে রাজবাড়ী-পোড়াদহ ও রাজবাড়ী-গোপালগঞ্জগামী ট্রেনলাইনে তিন ব্যক্তি কাটা পড়ে নিহত হলো।
নিহত ফিরোজ সরদারের বাড়ি রাজবাড়ী সদরের চরনারায়ন পুর গ্রামে। তার বাবার নাম ধুনাই সরদার। খবর পেয়ে রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতবিক্ষত লাশটি উদ্ধার করে।