সংবাদ সম্মেলনে রিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ এবং একজন নিরীহ কৃষক। আমরা ২ ভাই ও ৫ বোন। আমার বাবার জমির প্রাপ্ত অংশ বোনদের দিয়েছি। শুধুমাত্র ব্লকে পানি সরবরাহের জন্য একটি পানির কল রয়েছে যাতে আমি একের পাঁচ অংশ ভাগ পাই। কিন্তু বোনেরা আমার ওই এক ভাগ থেকে আরো পাঁচ ভাগ দাবি করছে।
অথচ ২০ বছর আগে আমার পিতা এজাহার আলী পানির কলের এই ভাগটি আদালতের মাধ্যমে আমাকে এফিডেভিট করে দেন। পারিবারিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক পরিচয়দানকারি জনৈক জাহাঙ্গির ও দালাল আব্দুস সালাম আমার কাছে এক লক্ষ টাকা দাবি করে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় যে দুইজন সাংবাদিক আমার উপকার করলো পত্রিকায় তাদের নাম উঠলো চাঁদাবাজ হিসাবে। যারা এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করলো এবং এলাকার সাধারণ মানুষকে হয়রানী অব্যহত রখেছে তারা থাকলো ধোয়া তুলশি পাতা হয়ে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার পাঁচ বোনের প্রত্যেককে তাদের প্রাপ্য প্রায় আড়াই বিঘা করে জমি দিয়েছি। নারিকেল ও তালগাছের ভাগ দিয়েছি। বাকি রয়েছে শুধুমাত্র একটি পানির কল। এছাড়া বড় বোন ছালেহা খাতুন আমার ক্রয় করা জমিতে বাস করে।
বাবার কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে পাওয়া পানির কলের ভাগ বোনদের করিয়ে দেয়ার জন্য সাংবাদিক পরিচয়দানকারি জাহাঙ্গির ও দালাল আব্দুস সালামসহ আরো কয়েকজন আমাদের পরিবারের শান্তি নষ্ট করছে। দালাল চক্র আমার অনেক আর্থিক ক্ষতি করেছে।
এখনও আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তারা আমার জমিতে ধান চাষ করতে যেতে বাধা দিচ্ছে না। ইতিপূর্বে ওই দালাল চক্র নাশকতার মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করেছে এবং এখনও করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি ক্রয় সূত্রে পাওয়া পানির কলের একের পাঁচ অংশ ভাগ ফিরে পেতে এবং চাঁদাবাজ ও দালাল চক্রের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।