৩.২ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়েছেন। উইকেটটাই কেবল পাচ্ছিলেন না। শেষে তাঁর শিকার হয়েই অলআউট কুমিল্লা। রাজশাহী কিংস পেল ৩৮ রানের জরুরি এক জয়। মোট ২১টি ডেলিভারি করেছেন মোস্তাফিজ, ১৪টিতেই ডট। একটি ওয়াইড, যে ওয়াইডটি মোস্তাফিজ যে মানতে পারেননি, তা তাঁর শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছিল। একটিও বাউন্ডারি আসেনি তাঁর বল থেকে। বরাদ্দ ৪ ওভারের তিনটাই করেছেন স্লগে। এই মোস্তাফিজের বোলিং দেখাও তো উপভোগ্য। এবারের বিপিএলে শেষের ওভারগুলো মোস্তাফিজের পুরোনো ঝলক মাঝেমধ্যেই দেখা যাচ্ছে।
আজ আলাদা করে চোখে পড়ল তাঁর বোলিংয়ের সামনে আফ্রিদির নাকাল হওয়ার অবস্থা, এর আগে দেখা গিয়েছে তামিম ইকবালের অসহায়ত্ব। চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে তামিমকে পেয়েছিলেন মোস্তাফিজ। এ রান নিয়ে প্রান্ত বদল করে আগের ম্যাচে ৭২ রান করা তামিমকে স্ট্রাইকিংয়ে এনেছিলেন এনামুল। টানা পাঁচ বলে তামিম ডট দিলেন। মেরেকেটে খেলার চেষ্টা করেও পারলেন না।
১৫ নম্বর ওভারে মোস্তাফিজ যখন দ্বিতীয় স্পেলে ফিরলেন, ততক্ষণে তামিম নেই। তবে আফ্রিদি আছেন। এবার প্রথম দুই বল থেকে তিন রানে প্রান্ত বদল করে আফ্রিদিকে স্ট্রাইকে আনলেন ডসন। কুমিল্লা তখন ম্যাচের সমীকরণ নিজেদের নাগালে রাখার মরিয়া চেষ্টা করছে। আফ্রিদি প্রথম তিনটা বলেই মেরে খেলার চেষ্টা করলেন। তিনবারই স্রেফ বোকা বনে গেলেন। শেষ বলে কোনোমতে নিলেন এক রান।
এক ওভার পরেই আবার ফিজ বনাম আফ্রিদি। এবার ১ রান নিয়ে ডসন নিজের গা বাঁচালেন, যা করার তুমিই করো বাপু ভঙ্গিতে। আফ্রিদির অসহায়ত্ব এবার আরও বেশি করে চোখে লাগল। নিচে এসে খেলতে চাইলেন, লেগে সরে গিয়ে জায়গা বানিয়ে মারতে চাইলেন, ব্যাক ফুটে খেলতে চাইলেন, ক্রিকেটের কোনো ব্যাকরণেই পড়ে না, এমন শটও খেলার প্রাণান্ত চেষ্টা করলেন। শেষ পর্যন্ত আবারও শেষ বলে এক রান নিয়ে মেনে নিলেন এই লড়াইয়ের পরাজয়।
শেষ পর্যন্ত তামিমের মতো আফ্রিদিও মোস্তাফিজের শিকার নন। অন্তত স্কোরকার্ডে তা-ই তো লেখা থাকবে। তবে স্কোরকার্ডই কি সব? এদিন তামিম-আফ্রিদি তো আসলে মোস্তাফিজেরই শিকার।