ওয়ানডে ক্রিকেটে যত হ্যাটট্রিক
ক্রাইমবার্তা রিপোর্টঃ হ্যাটট্রিক ম্যান ম্যাচ ভেন্যু সাল হ্যাটট্রিকের শিকার
জালাল উদ্দিন পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া হায়দরাবাদ ১৯৮২ মার্শ, ইয়ার্ডলি, লসন
বিএ রেইড অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিডনি ১৯৮৬ বেøয়ার, ম্যাকসুইনি, গিলেস্পি
সি শর্মা ভারত-নিউজিল্যান্ড নাগপুর ১৯৮৭ রাদারফোর্ড, স্মিথ, চ্যাটফিল্ড
ওয়াসিম আকরাম পাকিস্তান-উইন্ডজ শারজাহ ১৯৮৯ ডুজন,মার্শাল, অ্যামব্রোস
ওয়াসিম আকরাম পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া শারজাহ ১৯৯০ হাজেস, র্যাকম্যান, অল্ডারম্যান
কপিল দেব ভারত-শ্রীলঙ্কা কোলকাতা ১৯৯১ মহানামা, রতœায়েক, জয়সুরিয়া
আকিভ জাভেদ ভারত-পাকিস্তান শারজাহ ১৯৯১ শাস্ত্রি, আজহারউদ্দিন, টেন্ডুলকার
ডিকে মরিসন নিউজিল্যান্ড-ভারত নেপিয়ার ১৯৯৪ কপিল দেব, আনকোলা, নয়ন মঙ্গিয়া
ওয়াকার ইউনিস পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ইস্ট লন্ডন ১৯৯৪ হ্যারিস, প্রিঙ্গেল, ডি গ্রোন
সাকলাইন মোস্তাক পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে পেশোয়ার ১৯৯৭ গ্রান্ড ফ্লাওয়ার, রেনি, হুইটেল
ইএ ব্রেন্ডেস জিম্বাবুয়ে-ইংল্যান্ড হারারে ১৯৯৭ নাইট, ক্রাউলি, নাসির হুসেন
এএম স্ট্রয়ার্ট অস্টেলিয়া-পাকিস্তান মেলবোর্ন ১৯৯৭ ইজাজ, মোহাম্মাদ ওয়াসিম, মঈন
সাকলাইন মুশতাক পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে ওভাল ১৯৯৯ ওলঙ্গা, হাকেল, এমবাঙ্গওয়া
চামিন্দা ভাস শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে কলম্ব ২০০১ কার্লিসেল, উইশার্ট, তাইবু
মোহাম্মাদ সামি পাকিস্তান-উইন্ডিজ শারজাহ ২০০২ জ্যাকোবস, কলিমোর, কাফি
চামিন্দা ভাস শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ পিটারমারিতজবার্গ ২০০৩ হান্নান, আশরাফুল, এহসানুল
ব্রেট লি অস্টেলিয়া-কেনিয়া ডারবান ২০০৩ ওতিয়েনো, প্যাটেল, অবুয়া
জেমস অ্যান্ডারসন ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ওভাল ২০০৩ রাজ্জাক, শোয়েব আখতার, মোহাম্মাদ সামি
স্টিভ হার্মিসন ইংল্যান্ড-ভারত নটিংহাম ২০০৪ কাইফ, বালাজি, নেহারা
কার্ল লেঙ্গাভেল্ট দ.আফ্রিকা-উইন্ডজ বার্বাডোস ২০০৫ ব্রাডশ, পাওয়েল, কলিমোর
শাহাদাত হোসেন বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে হারারে ২০০৬ মুফাম্বিসি, চিগুম্বুরা, উৎসেয়া
জেরোম টেইলর উইন্ডজ-অস্ট্রেলিয়া মুম্বাই ২০০৬ হাসি, ব্রেট লি, হগ
শেন বন্ড নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া হোবার্ট ২০০৭ হোয়াইট, সাইমন্ডস, ব্রাকেন
*লাথিস মালিঙ্গা শ্রীলঙ্কা-দ.আফ্রিকা গায়ানা ২০০৭ পোলক, হল, ক্যালিস, এনটিনি
এন্ডু ফ্লিন্টফ ইংল্যান্ড-উইন্ডজ সেন্ট লুসিয়া ২০০৯ রামদিন, রামপাল, বেন
পারভেজ মাররুফ শ্রীলঙ্কা-ভারত ডাম্বুলা ২০১০ জাদেজা, প্রভিন কুমার, জহির খান
আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ঢাকা ২০১০ উৎসেয়া, প্রাইস, এমপুফু
কেমার রোচ উইন্ডিজ-নেদারল্যঅন্ডস দিল্লি ২০১১ সিলার, লটস, ওয়েজডিক
লাথিস মালিঙ্গা শ্রীলঙ্কা-কেনিয়া কলম্বো ২০১১ মিশ্র, ওনগন্ডো, এনগোচি
লাথিস মালিঙ্গা শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া কলম্বো ২০১১ জনসন, হাস্টিংস, ডোহার্টি
ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা মেলবোর্ন ২০১২ পেরেরা, সেনানায়েক, কুলাসেকারা
থিসারা পেরেরা শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান কলম্বো ২০১২ ইউনিস খান, আফ্রিদি, সরফরাজ
ক্লিন্ট ম্যাককি অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড কার্ডিফ ২০১৩ পিটারসেন, ট্রট, রুট
রুবেল হোসেন বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ঢাকা ২০১৩ কোরি অ্যান্ডারসন, ম্যাককুলাম, নিশাম
প্রসপার উৎসেয়া জিম্বাবুয়ে-দ.আফ্রিকা হারারে ২০১৪ ডি কক, রুশো, মিলার
তাইজুল ইসলাম বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ঢাকা ২০১৪ চাতারা, নিয়াম্বু, পানিয়াঙ্গারা
স্টিভেন ফিন ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন ২০১৫ হাডিন, ম্যাক্সওয়েল, জনসন
জেপি ডুমিনি দ.আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা সিডনি ২০১৫ ম্যাথিউস, কুলাসেকারা, কুসল
কাসিগো রাবাদা দ.আফ্রিকা-বাংলাদেশ মিরপুর ২০১৫ তামীম, লিটন. মাহমুদুল্লাহ
জেমস ফাকনার অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা কলম্বো ২০১৬ পেরেরা, ম্যাথিউস, থিসারা পেরেরা
তাসকিন আহমেদ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ডাম্বুলা ২০১৭ গুনারতেœ, লাকমল, নুয়ান প্রদীপ
ওয়ানডে হ্যাটট্রিকনামা
* মোট হ্যাটট্রিক সংখ্যা ৪১টি
* হ্যাটট্রিকম্যান ৩৬জন
* সর্বপ্রথম হ্যাটট্রিকম্যান পাকিস্তানের জালাল-উদ-দীন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৮২ সালে
* সর্বোচ্চ ৩বার শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার
* দুটি করে আছে পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম, সাকলায়েন মুস্তাক এবং শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাসের
* মাত্র ১৯ বছর ৮১ দিনে এই মাইলফলক অর্জন করে তালিকার সর্বকনিষ্ঠ পাকিস্তানের আকিব জাভেদ
শামীম চৌধুরী : রডনি মার্শ, ব্রুস ইয়ার্ডলি, জেফ লসন তখন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে বড় বড় নাম। পাকিস্তানের ২২৯/৬ চেজ করে অস্ট্রলিয়ার জয়টা অবধারিত ধরেই নিয়েছিল প্রতিপক্ষ পাকিস্তানও। ওপেনিং পার্টনারশিপে ১০৪ এর পর জয়টা অবধারিত প্রাপ্য ছিল তাদের। অথচ, যে ছেলেটি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে অবতীর্ণ, সেই ডান হাতি পেস বোলার জালাল উদ্দিনেই হতে হলো বিপর্যস্ত। তার পর পর তিনটি ডেলিভারিতে রডনি মার্শ, ইয়ার্ডলি, লসন আউট! ওয়ানডে ক্রিকেট প্রবর্তনের ১১ বছর পর ক্রিকেট বিশ্ব পেলো একদিবসীয় ক্রিকেটে প্রথম হ্যাটট্রিক ম্যানের সন্ধান। ক্যারিয়ারটা খুব বড় নয়, মাত্র ৩ বছরের-৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট। তারপরও জালালউদ্দিনকে দিয়েই শুরু হ্যাটট্রিক তালিকা, যে তালিকায় ৪১তম কৃতিত্ব তাসকিনের।
অবিশ্বাস্যই বটে! প্রথম উইকেটের চিত্রটা দেখে মাথায় হাত উঠতে পারে যে কারো। সেøায়ার ডেলিভারিতে সেঞ্চুরিয়ান কুশল মেন্ডিজের নেয়া পাওয়ার শটটি ফলো থ্রুতে তাসকিনের কাঁধে প্রচন্ড জোরে আঘাত হেনে উঠে গেছে শূন্যে। এমন এক শটে দিকভ্রান্ত হওয়ারই কথা বোলারের। অথচ, শূন্যে ওঠা সেই বলটি পেছনে ফিরে অসামান্য তৎপরতায় পরিনত করেছেন ক্যাচে! কাকতালীয় এই ক্যাচটিই ফিরিয়েছে ম্যাচে বাংলাদেশকে। ইনিংসের মাঝপথে বোলিংয়ের দায়িত্ব পেয়ে প্রথম স্পেলে (৭-০-৩৩-১) দিয়েছেন ব্রেক থ্রু। সেঞ্চুরিয়ান কুশল মেন্ডিজকে (১০২) ফিরিয়ে দিয়ে সøগে শ্রীলঙ্কাকে ভয়ঙ্কর হতে দেননি তাসকিন। তাসকিনের শেষ স্পেলটাই (১.৫-০-১৪-৪) রান পাহাড়ে চাপ পড়ার শঙ্কা থেকে বাঁচিয়েছে বাংলাদেশকে।
ইনিংসের শেষ ওভারে তাসকিনের হাতে বল তুলে দিয়ে নির্ভয়ে ছিলেন মাশরাফি। তবে ৫০তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি অধিনায়কের হাততালি পায়নি। লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে ফুলটস ডেলিভারিতে গুনারতেœর হাতে ফাইন লেগে বাউন্ডারি দেখে মাশরাফি একটু বিরক্তই হয়েছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শেষ ৪ ডেলিভারিতে তার করনীয় কি। অধিনায়কের টিপস পেয়ে পরের তিন ডেলিভারিতে হয়ে গেলেন তাসকিন ইতিহাস। ওভারের তৃতীয় বলে মিড অফে ঠিক বৃত্তের উপরে সৌম্য’র হাতে সঁপে দিলেন গুনারতেœ (৩৯)। পরের বলটি ফুলটস ডেলিভারি দিয়েই সফল তাসকিন, মিড উইকেটে মুস্তাফিজুরের হাতে বন্দি লাকমাল (০)। হ্যাটট্রিক ডেলিভারিটিতে কাউকে অবদান রাখার সুযোগ দেননি। অসাধারণ ইয়র্কারে নুয়ান প্রদীপকে বোল্ড আউটের সঙ্গে সঙ্গে হ্যাটট্রিক আনন্দে ডাম্বুলায় মেতেছেন তাসকিন।
ওয়ানডে ইতিহাসে ৪১তম হ্যাটট্রিকে তাসকিনের, যে রেকর্ডে বিশ্বে তিনি ৩৬ তম (মালিঙ্গা ৩ বার, ওয়াসিম আকরাম, সাকলায়েন মুস্তাক, ভাস ২ বার করে) এবং বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে ৫ম। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হ্যাটট্রিকের পথ প্রদর্শক পেস বোলার শাহাদত রাজিবÑ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই হ্যাটট্রিক দিয়ে শুরু। গত ১১ বছরে সংখ্যাটা বাড়তে বাড়তে ৫ এ এসেছে। শাহাদত রাজিব, বাঁ হাতি স্পিনার রাজ্জাক রাজ, পেস বোলার রুবেল হোসেন, বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের পর ৫ম বাংলাদেশী হিসেবে হ্যাটট্রিকের রেকর্ডটা গড়েছেন তাসকিন।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অভিষেকে ছড়িয়েছেন উজ্জ্বাল্য। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে ৫ উইকেটের (৫/২৮) কৃতিত্ব তারই। ৩ বছর আগে মিরপুরে সেই বোলিং এখনো তাসকিনের ক্যারিয়ার সেরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত বছর মিরপুরে ম্যাচ উইনিং বোলিং (৪/৫৯) এর পর ৪ উইকেটের ইনিংসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৯টি ম্যাচ। শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০০৫ সালে মেলবোর্নে করেছেন হতাশ বোলিং (১০-১-৮২-০), চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে (৯-০-৪১-১) গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ফিরে পেয়েছেন অতীতের ছন্দ। তার গতি নিয়ে কখনো প্রশ্ন করে না কেউ। নিয়ন্ত্রিত বোলিং নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বার বার। তবে ৫৩টি ডেলিভারির মধ্যে ২৪টি দিয়েছেন ডট। হ্যাটট্রিক ইনিংসের এই বোলিংই (৮.৫-০-৪৭-৪) আবার বিদেশের মাটিতে তাসকিনের সেরা। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে পোচেস্টর্মে ইনিংসের প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশকে কাঁদিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাস। ১৪ বছর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাসকিনকে দিয়ে সেই বদলা তো নিতে পারলো বাংলাদেশ।
ডাম্বুলায় শেষ ওভারে পর পর ২ ডেলিভারিতে গুনারতেœকে মিড অফে এবং লাকমালকে মিড উইকেটে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে যেখানে পরের ডেলিভারির আগে স্নায়ুচাপে ভোগার কথা, সেখানে নাকি হ্যাটট্রিক ডেলিভারির সময়ে ছিলেন তাসকিন নির্ভারÑ ‘এর আগে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েও আমি হ্যাটট্রিক করতে পারিনি। তবে এবার তৃতীয় উইকেটটি নেওয়ার আগে আমি খুব নির্ভার ছিলাম। মনে হচ্ছিল হ্যাটট্রিক হয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত হয়েও গেল। হ্যাটট্রিক বল করার আগে নার্ভাস ছিলাম না। অন্য সময়ের চেয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
প্রথম ২টি ডেলিভারি ফুলটস দিলেও তৃতীয় ডেলিভারিতে কৌশল পরিবর্তন করেছেন। দিয়েছেন ইয়র্কার। সৌম্য’র পরামর্শেই নাকি শ্রীলঙ্কা টেল এন্ডারকে দিয়েছেন ওই ডেলিভারিÑ ‘যখন শেষ ওভারের পঞ্চম বল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি, রান আপের আগে সৌম্য দৌঁড়ে এসে বলল, এটা তোর হ্যাটট্রিক বল, ইয়র্কার টাইপের কিছু একটা কর।’
ওভারের প্রথম বলে লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে ফুলটস দিয়ে গুনারতেœর কাছে বাউন্ডারি হজম করার পর শেষ তিনটি ডেলিভারিতে কিভাবে বদলে ফেললেন নিজেকে? এটাই প্রশ্ন। তবে হ্যাটট্রিক ডেলিভারির তিনটির মধ্যে শেষ ডেলিভারিকেই ক্যারিয়ারের সেরা বল বলে গণ্য করছেন তাসকিনÑ ‘ওই তিনটি বলকে ক্যারিয়ারের সেরা বল বলব না। তবে নুয়ান প্রদীপকে করা শেষ বলটি অবশ্যই ক্যারিয়ার সেরা বল।’ নিজেকে বড়ই ভাগ্যবান মনে করছেন তাসকিনÑ ‘উইকেট পাওয়ার চেষ্টা করতে পারি, কিন্তু উইকেট পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। শেষ ডেলিভারিটিতে প্রদীপ বোল্ড না হয়ে তার ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারিও হয়ে যেতে পারত। আমি আসলেই ভাগ্যবান।’
হ্যাটট্রিক করে সতীর্থদের অভিনন্দনে হয়েছেন তাসকিন সিক্তÑ ‘হ্যাটট্রিকের পর সবাই অভিনন্দন জানিয়েছে এবং ড্রেসিংরুমেও আমি বাহবা পেয়েছি।’ তবে হ্যাটট্রিকের ম্যাচটি বৃষ্টি ভাসিয়ে নেয়ায় পুরোপুরি তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারছেন না তাসকিনÑ ‘এটা আমার ক্যারিয়ারের বড় একটা অর্জন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি প্রথমবারের মতো হ্যাটট্রিক করেছি। অবশ্যই এটা বড় পাওয়া এবং খুব ভালো লাগছে। তবে আরও ভালো লাগতো যদি ম্যাচটা শেষ করতে পারতাম। তাহলে আমরা জিতে সিরিজ জয়ের উৎসব করতে পারতাম।’
ওয়ানডে অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে এমন কৃতি তারই। তবে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অভিষেক ম্যাচে এমন কৃতির পরও কাঁদতে হয়েছে। টি-২০ বিশ্বকাপে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ এবং পরবর্তীতে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধও হতে হয়েছে তাকে। সেখান থেকে ৫ মাসের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা দিয়ে বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা পেয়েছেন। ফিরেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেয়েছেন ৪ উইকেট!
বোলিং কোচ হিসেবে ক্যারিবিয়ান লিজেন্ডারি কোর্টনী ওয়ালশকে পেয়েই আইসিসিকে দিতে পেরেছেন জবাব। সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেট থেকে পর্যায়ক্রমে টেস্ট বোলার হিসেবে নিজেকে প্রমাণে কোর্টনী ওয়ালশই তাকে যোগাচ্ছে প্রেরনা, দিচ্ছেন সাহস। সে কারণেই বোলিং গুরু ওয়ালশের প্রতি কৃতজ্ঞ তাসকিনÑ ‘আমাদের বোলিং কোচ ওয়ালশ একজন লিজেন্ডারি বোলার। তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। তার পরিকল্পনা মতোই বোলিং করেছি।’
আগামী ৩ এপ্রিল ২২তম জন্মদিন পালন করবেন তাসকিন শ্রীলঙ্কায় বসে। ২৮তম জন্মদিন বিশেষভাবে উদযাপনে তামীম দিয়েছেন দেশবাসীকে উৎসবের উপলক্ষ্য, সাকিবের ৩০তম জন্মদিনটাও দারুণ ভাবে পালন করতে পেরেছে টীমমেটরা। তাসকিনের ২২ তম জন্মদিনকে ঘিরেও যে উৎসবের উপলক্ষ্য খুঁজছে বাংলাদেশ।