- শবরীমালা মন্দিরে ঢুকে ইতিহাস গড়েছিলেন দুই নারী
- তাদের একজন কনক বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না
- শাশুড়ি লাঠিপেটা করে কনকের মাথা ফাটিয়ে দেন
- কনককে বাড়ি নিতে রাজি হননি স্বামী
- বেশ কিছুদিন আগে দক্ষিণ ভারতের প্রাচীন শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে ইতিহাস গড়েছিলেন দুই নারী। সেই বহুল আলোচিত তাঁদেরই একজনকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না পরিবার। কনক দুর্গা নামের ৩৯ বছরের ওই নারী এ মাসের গোড়ায় শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের পর আত্মগোপন থেকে যখন বাড়ি ফেরেন, তখন তাঁর শাশুড়ি তাঁকে লাঠিপেটা করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর আহত কনক দুর্গা হাসপাতালে ভর্তি হন।
১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার যে শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা রয়েছে, সেই প্রথা বাড়ির বউ হয়ে কেন ভেঙেছেন—এটাই ছিল কনক দুর্গার অপরাধ। হাসপাতাল থেকে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির কেউ সেখানে নেই। বাড়ি তালাবব্ধ।
সমাজকর্মী থাঙ্কাচান ভিথায়াতিল বিবিসিকে জানান, কনক দুর্গা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন, সেখানে কেউ নেই। পুলিশও তাঁর সঙ্গে গিয়েছিল। বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না দেখে পুলিশই নারীদের জন্য তৈরি আশ্রয়শিবিরে তাঁকে নিয়ে যায়। পরে থানায় গিয়ে কনক দুর্গা জানতে পারেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চান না তিনি বাড়িতে ফেরেন। এরপর কনক দুর্গার স্বামী কিষান উন্নিকে থানায় ডাকা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
মালাপ্পুরাম জেলার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট প্রতীশ কুমার জানান, কনক দুর্গার স্বামী থানায় এসেছিলেন, কিন্তু কনক দুর্গাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে রাজি হননি। পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বিষয়টি এখন পারিবারিক সহিংসতার পর্যায়ে গিয়েছে। কনক দুর্গা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। এখন বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াবে।
আরও পড়ুন…