ঐক্যফ্রন্টকে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ: প্রত্যাক্ষণ ঐক্যফ্রন্ট সমন্বয়ক সুব্রত চৌধুরীর

প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে যাচ্ছে না ঐক্যফ্রন্ট : সুব্রত চৌধুরী

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ  ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে গণভবনে যাচ্ছে না জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ বিকেলে গণভবন থেকে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য চা-চক্রের আমন্ত্রণ পেয়েছি, কিন্তু এতে যাওয়ার সুযোগ নেই।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, এটা আপাতত প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া।

—০—–

একাদশ নির্বাচনের পর সংলাপ নিয়ে নানামুখী আলোচনার মধ্যে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্রের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাদের এ আমন্ত্রণ জানানো হয়।

গণফোরাম কার্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার সকালে গণভবন থেকে ঐক্যফ্রন্টকে আমন্ত্রণের একটি চিঠি এসেছে। ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সব সদস্যের নামে আলাদা আলাদা চিঠি দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর গত ১৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ যে ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল তাদের সঙ্গে ফের সংলাপে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের ফের আমন্ত্রণ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর একদিন পর ১৪ জানুয়ারি দুপুরে সিলেটে হজরত শাহজালালের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনবিষয়ক এজেন্ডা থাকলেই কেবল প্রধানমন্ত্রীর সংলাপে অংশ নেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ওইদিন বিকালেই রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে সংলাপ নয়, নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্যই মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাবেন। তবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিয়ে সংলাপের দাবি হাস্যকর।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেছিলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য চিঠি দিয়ে আবারো তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর সেটা শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য। এখানে কোনো সংলাপ নয়।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে ওই সংলাপে অংশ নিয়েছিল বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্টসহ আরও বহু দল। ওই সংলাপের সময়ই বিরোধী দলগুলো একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ঘোষণা করে।

এ আমন্ত্রণে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

শীর্ষ

Check Also

সাতক্ষীরা পৌর ৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর আমীরের শপথ

মাসুদ রানা, সাতক্ষীরা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর শাখার পৌর ৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।