বিপিএলের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে কোনো জয় পেলো না সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। দুই ধাপে মোট চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকায় তৃতীয় ধাপের দুটি ম্যাচেই হেরেছে তারা। আজ ছিল চট্টগ্রাম ধাপের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয়টিতেও হারলো তারা। টানা চার ম্যাচে হার। আজ চিটাগং ভাইকিংসের কাছে ১১ রানে হেরেছে তারা। ফলে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে চিটাগং আর চতুর্থ স্থানেই রয়েছে ঢাকা।
দুপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা শুভ হয় চিটাগংয়ের। ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদের চার-ছক্কায় দ্রুত রান তোলে মুশফিকরা। কিন্তু পঞ্চম ওভারেই ১৫ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরেন শেহজাদ। তবে অপর ওপেনার ডেলপোর্ট ঠিকই ক্রিজে ঠাঁয় ছিলেন। অর্ধশত করে শেষ ওভারে সাজঘিরে ফিরেন। তখন তার সংগ্রহ ৫৭ বলে পাঁচটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কায় অনবদ্য ৭১ রান।
তিনি ছাড়া ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ২৪ বলে চার বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৪৩ রান করে।
ঢাকার অ্যান্দ্রে রাসেল সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন আর নারাইন নেন দুটি।
১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরু থেকেই বেসামাল ঢাকা। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরেন সুনীল নারাইন। আবু জায়েদের বলে শূন্যেতে ফিরে যান।
এর ওভার পরেই রনি তালুকদার বিদায় নেন ছয় রানে। আর পরের ওভারে ওপেনার মিজানুর রহমান ১১ রানে।
এরপর নুরুল হাসানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দলীয় ৭৩ রানে নুরুল ফিরে গেলে একপ্রান্ত আগলে রাখেন সাকিব।
ক্রিজে এসেই রান আউট হয়ে শূন্যহাতে ফিরেন কাইরন পোলার্ড। এরপর অ্যান্দ্রে রাসেলের সাথে কিছুটা পথ এগিয়ে গেলেও দলীয় ১৩৯ রানে রাসেলও বিদায় নেন।
তবে সাকিব ঠিকই অর্ধশত করেছেন। ১৮তম ওভারে শানাকার বলে ফিরে যাওয়ার আগে সংগ্রহ ছিল ৫৩ রান।
এরপর টেলএন্ডারদের পক্ষে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ানো সম্ভব হয়নি। ১১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
চিটাগংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন আবু জায়েদ। আর দুটি নেন শানাকা।