সংসদে নিজেদের ভূমিকা নিয়ে বিব্রত ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বুধবার জাতীয় সংসদে এ বিব্রতকর পরিস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী মেনন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমরা আনন্দিত। তবে এ আনন্দের সঙ্গে আমরা একটু বিব্রতও বটে। সংসদে বিরোধী দলে বসতে তাদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, আজকে (বুধবার) সংসদে প্রবেশের সময় আমাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে সংসদে আপনাদের অবস্থান কী হবে?
এ প্রসঙ্গে দলীয় ফোরামে প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার দলের বৈঠকে একটি মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, এ সংসদে সরকারি দল যেমন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের হবে, তেমনি বিরোধী দলও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের হবে। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য অত্যন্ত যৌক্তিক। কিন্তু আমাদের বলা হচ্ছে, আপনারা কেন বিরোধী দলে গিয়ে বসছেন না।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তো আমাদের কেউ জিজ্ঞাসা করবে, প্রশ্ন করবে বা আলোচনা করবে। কিন্তু তা করা হয়নি। মনে হয় এ সিদ্ধান্ত যেন আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে, সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।
মেনন আরও বলেন, আমরা সরকারের সব উন্নয়ন কাজের প্রশংসা করব। সঙ্গে সঙ্গে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সেটা বিরোধিতার প্রয়োজন হয় তা অবশ্যই করব। আমরা পঞ্চদশ সংশোধনীর দুটি বিষয়ে বিরোধিতা করে নোট অব ডিসেন্টও দিয়েছিলাম, এটা নিশ্চয়ই মনে আছে। কাজেই দেশকে উন্নয়নমূলক কাজ ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে নেয়ার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রতি আমাদের যেমন সমর্থন থাকবে তেমনি দুর্নীতি ও বৈষম্যের প্রশ্নে যে কোনো ব্যত্যয় হলে বা সরকারি কাজে কোনো বিরোধিতার বিষয় থাকলে অবশ্যই তার বিরোধিতার সুযোগ আমরা পাব।
মেনন বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে বসছে। তারা অবশ্যই শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা রাখবেন। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে এগিয়ে যাব। এক্ষেত্রে স্পিকারের সুদৃষ্টি বিশেষ প্রয়োজন।